শীতে ব্যর্থ হয়েছি, বর্ষায় সফল হতে চাই

এস এ হক অলীক
ছবি: ফেসবুক

‘যোদ্ধা’র জন্য ২০২০ সালে অনুদান পান এস এ হক অলিক। পরের বছরও ‘গলুই’ সিনেমার জন্য অনুদান পেলেন এই নির্মাতা। আগের সিনেমা শেষ না করেই নতুন সিনেমার শুটিংয়ের তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন অলিক। আগের ছবির তাহলে কী হবে?এস এ হক অলীক বলেন, ‘আমাদের একটি সিনেমার গল্পে দরকার শীত, অন্যটিতে বর্ষা।

গলুই সিনেমার গান রেকডিং এর ফাঁকে
ছবি: ফেসবুক

শীতে ব্যর্থ হয়েছি। বর্ষায় সফল হতে চাই।’ কথাটার অর্থ বোঝা গেল না। তাই আরেকটু খোলাসা করে বলতে বললাম। এই নির্মাতা বলেন, ‘যোদ্ধা’ অনুদান পাওয়ার পর গত বছর প্রি-প্রোডাকশনের কাজ শুরু করেন। শিল্পী পরিকল্পনাও প্রায় চূড়ান্ত করেন। এমন সময় আসে করোনা।

দ্রুত চলছে প্রি–প্রোডাকশনের কাজ
ছবি: ফেসবুক

এস এ হক অলিক বলেন, ‘আমাদের গল্পে দরকার ছিল প্রচণ্ড শীত। চরিত্রগুলো পানি থেকে উঠলে যেন সত্যি সত্যি শরীর কাঁপে। কথা বলার সময় চরিত্রগুলোর মুখ দিয়ে যেন কুয়াশার মতো বাতাস বের হয়। কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশটা আমাদের গল্পের প্রেক্ষাপটে খুবই দরকার। যে কারণে আমরা নভেম্বরে থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত শিডিউল পরিকল্পনা করি। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে পরিকল্পনা বাতিল হয়।

এস এ হল অলীক
ছবি: ফেসবুক

আবার “গলুই” সিনেমাটার জন্য দরকার ভরা বর্ষা। ভরাট খাল–বিল, নৌকাবাইচ, নদীর পাড়ে বাড়ি—এমন একটা সময়ের চিত্র গল্পে দরকার। এখন আমাদের সামনে এই চিত্রটা আছে। আষাঢ়ের বর্ষণের পরে নদী কানায় কানায় পরিপূর্ণ। এই জন্য আগামী আগস্ট থেকে অক্টোবরের আগে শুটিং শেষ করতে চাই। পরে শীতে ‘‘যোদ্ধা’’র শুটিং শুরু করব। এখন দ্বিতীয় সিনেমা নিয়ে আর দেরি করতে চাই না।’ জামালপুরের চর এলাকায় শুটিং করার পরিকল্পনা করছেন তাঁরা।