হাতখরচ জোগাতেই ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন ফারিয়া
‘কখনেই ভাবিনি ক্যামেরার সামনে দাঁড়াব। কোনো দিন চিন্তাও করিনি সিনেমায় কাজ করব। এমনকি টেলিভিশনও ভাবনায় ছিল না। হাতখরচের টাকা পাব, এ চিন্তা থেকে এই জগতের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হয়েছে। ছোটবেলায় মনে হতো, হাতখরচের জন্য আমার বোন তো বেশি টাকা পায়। এ জন্য আমারও একটু বেশি খরচ করার জন্য ছোট ছোট কাজ করলে ভালো হবে। ভালো পকেটমানি হাতে থাকবে।’ এভাবেই নিজের অভিনয়জগতে আসার নেপথ্য গল্প শোনালেন নুসরাত ফারিয়া।
সম্প্রতি প্রথম আলো অনলাইনের আয়োজনে হাতিল নিবেদিত ‘বড় মঞ্চের তারকা’য় দিলারা হানিফ পূর্ণিমার মুখোমুখি হয়েছিলেন এই তারকা।
অনুষ্ঠানে নিজের বিনোদন জগতে আসার গল্প শোনালেন ফারিয়া। তিনি বলেন, ‘আমার কখনোই স্বপ্ন ছিল না আমি নায়িকা হব, স্টার হব। সত্যি কথা বলতে, আমি পকেটমানির জন্য কাজ শুরু করি। আস্তে আস্তে বিশ্বাস করতে শুরু করি, আমি তো সিনেমাতেও কাজ করতে পারি। পুরো বিষয়টা অটো হয়ে গেছে।’
ফারিয়া জানালেন, এক বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে প্রথম সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন।
স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, ‘একটা মেহেদির বিজ্ঞাপনে কলকাতায় ছিলাম। আমাকে যখন ফোন করে বলল, আপনাকে একটি অডিশন দিতে হবে। তবে এর আগে আমি কিছু সিনেমার অফার পেয়েছিলাম। কিন্তু তখন আমি শিওর ছিলাম না, আমি সিনেমাই করব। কারণ, সিনেমায় অভিনয় করা বড় একটি সিদ্ধান্ত। বিজ্ঞাপনের সেট থেকেই আমি এসকে মুভিজের অফিসে যাই। সেখানে সবাই ছিলেন। ছয় ঘণ্টার মতো অডিশন নেওয়া হলো। সব ধরনের লুকে অডিশন দিয়েছি। কলকাতার বিভিন্ন পুরোনো সিনেমার ডায়ালগ আমাকে বলতে বলা হলো। অডিশন শেষ করার পর গাড়িতে উঠে আম্মুকে বলেছি, আমাকে পছন্দ করবে না। আমি পাব না সিনেমায় সুযোগ। পরের দিন সারা সকাল আমাকে ফোনে পাচ্ছিল না। দুপুরের পর আমাকে পায় এবং বলে, তুমি আমাদের সিনেমায় কাজ করছ।’
প্রথম সিনেমার প্রস্তাব পাওয়ার পর অনুভূতি কী ছিল? ‘তখন অন্য রকম একটি অনুভূতি কাজ করছিল। তখন কিন্তু আমি ফেসবুকে বেশ জনপ্রিয়। আমার পেজ খোলার পর এক সপ্তাহের মধ্যে এক থেকে দেড় লাখ ফলোয়ার হয়ে যায়। তখন আমাকে অনেকেই ফলো করে। সবাই নতুন নতুন আপডেটের জন্য অপেক্ষা করে। তখন আমার মাথায় একটি বিষয়েই ঘুরপাক খাচ্ছিল। সিলেক্ট তো হয়ে গেলাম, কিন্তু ঠিকঠাকমতো কাজ করতে পারব তো?’