আম্মার স্বপ্ন পূরণ করতেই আমি বিনোদনজগতে

প্রিয়মণি। ছবি: সংগৃহীত
গতকাল শুক্রবার বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছে অনন্য মামুন পরিচালিত ‘কসাই’ ছবিটি। এর আগে ওয়েবেও মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। সে সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবির অন্যতম অভিনেত্রী নবাগত প্রিয়মণির অভিনয় নিয়ে আলোচনা হয়। সাম্প্রতিক কাজসহ নানা বিষয়ে কথা হলো তাঁর সঙ্গে।

প্রশ্ন :

অভিনন্দন। হলে নিজের অভিনীত ছবিটা দেখেছেন?

ধন্যবাদ। এর আগে যখন অনলাইনে এলো, তখন কাছের অনেকেই প্রশংসা করে বলেছিল, তোর ছবিটা সিনেমা হলে মুক্তি পেলে সবাই মিলে দেখতে যাব। হঠাৎ করেই শুনলাম শুক্রবার বড় পর্দায় ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে। ভাবছি সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে ছবিটি দেখতে যাব।

প্রশ্ন :

ছবিতে আপনার চরিত্রটি বেশ চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে। এমন চরিত্র ফুটিয়ে তোলার কী প্রস্তুতি ছিল?

আমার মতো নবীন অভিনেত্রীর জন্য চরিত্রটা খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। এ ধরনের চরিত্র তাঁরাই সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন, যাঁদের দীর্ঘদিনের কাজের অভিজ্ঞতা আছে। আমি সবে এ জগতে এসেছি। আমার চরিত্রটা ছিল সাত–আট মাসের একজন গর্ভবতী নারীর। আমি চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি। কারণ, কনটেন্টটা আমার কাছে শক্তিশালী মনে হয়েছে। স্ক্রিপ্টটা হাতে পেয়ে আমি ইউটিউবে দেখার চেষ্টা করেছি তাঁদের হাঁটাচলা কেমন, কীভাবে তাঁরা সবকিছু হ্যান্ডেল করেন।

প্রিয়মণি। ছবি: সংগৃহীত

প্রশ্ন :

নবীন শিল্পী হিসেবে এ রকম চরিত্রে অভিনয় একটু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেল না?

আসলে ছবির গল্পটা এত ভালো ছিল যে অন্য কোনো ঝুঁকির কথা মাথায় নিইনি। একজন অভিনেত্রী হওয়ার জন্য নিজেকে উপস্থাপন, অভিনয়ের সুযোগ কতটা, সেটা দেখতে চেয়েছিলাম। আমি সাড়া পেয়েছি। আমি অভিনয়ে স্থায়ী হতে চাই। টিনএজ মেয়ের চরিত্র পেলাম কি না, প্রেমিকার চরিত্র বা ধুন্ধুমার গান আছে কি না—এসব দেখতে চাই না। অভিনয় দিয়ে দর্শকের কাছে যাওয়ার জন্য যেকোনো ভালো চরিত্রের জন্য আমি প্রস্তুত।

প্রিয়মণি। ছবি: সংগৃহীত

প্রশ্ন :

আপনি তো মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় ছিলেন। যদিও সেবার বিজয়ী হতে পারেননি। সিনেমায় এলেন কীভাবে?

যখন প্রতিযোগিতাটি চলছিল, তখন আমার মা খুব অসুস্থ ছিলেন। এমনকি যেদিন প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব, আম্মা সেদিন আইসিইউতে। আম্মা মারাও গেলেন। আমি প্রতিযোগিতায় অংশ নিলেও মনোযোগ দিতে পারিনি। আম্মার স্বপ্ন ছিল আমি বিনোদনজগতে কাজ করব। রাজবাড়ীতে থাকতে আমি জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে নাচ শিখতাম। যদিও পরিবারের অন্যদের ইচ্ছে ছিল আমি পড়াশোনা শেষ করে বিসিএস দিই। আমার উচ্চতা ৫ ফিট ৮ ইঞ্চি। পরিবার ভেবেছিল আমার পুলিশে চাকরি হয়ে যাবে। আম্মার স্বপ্ন পূরণ করতেই আমি বিনোদনজগতে আসি। একদিন চ্যানেল আইয়ের একটা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গেলে পরিচালক রাজু আলীম আমাকে তাঁর সিনেমার জন্য পছন্দ করেন। রাজি হয়ে যাই। পরে অনন্য মামুন ভাই আমাকে কসাই সিনেমার প্রস্তাব দেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমার দুটি ছবিতে ভিন্ন রকম চরিত্র।

প্রশ্ন :

ইদানীং কী করছেন?

অনুদানের তিনটি ছবিতে কাজের কথা হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি নতুন ওয়েব ফিল্মের কথাবার্তা চলছে। বিজ্ঞাপনের কাজ করলাম। এ ছাড়া ঘরে শিক্ষকের কাছে নাচ শিখছি, জিমে যাচ্ছি। বই পড়ে, ছবি দেখে সময় কাটছে।

প্রিয়মণি। ছবি: সংগৃহীত

প্রশ্ন :

আপনার ‘প্রিয়মণি’ নামটা চলচ্চিত্রে আসার পর হয়েছে?

না। এটা আমার পারিবারিক নাম। এ নামেই বাসার সবাই আমাকে ডাকে।