কোনো কাজ না থাকলে তখন আমি ফটোগ্রাফি করি: জেমস
১২ বছর পর চাঁদরাতে আসছে নগর বাউল জেমসের নতুন গান। ‘আই লাভ ইউ’ শিরোনামে গানটির কথা লিখেছেন যৌথভাবে জেমস ও বিশু শিকদার। সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন জেমস নিজেই। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সে খবর জানাতে গুলশান ক্লাবে আয়োজন করা হয় ইফতার। এদিন সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন জেমস। কথা হয় প্রথম আলোর সঙ্গেও।
প্রশ্ন :
এক যুগ পর কেন? শ্রোতারা এতদিন বঞ্চিত হলেন না?
পরিকল্পনা করে এক যুগ পর নতুন গান—ব্যাপারটা এমন নয়। এটি কাকতালীয়। এমনও তো হতে পারত, ১১ বছর পর বা ১৩ বছর পর। বন্ধুবান্ধব, পরিচিতজনেরা প্রায়ই আমাকে নতুন গানের কথা বলতেন। তাঁদের কথায় সেভাবে গুরুত্ব দিইনি। কিন্তু কিছুদিন ধরে মাঠে–ময়দানে গান করতে গেলে লক্ষ করছিলাম শুধু অনুরোধই নয়, ভক্তরা একেবারে দাবি করে বসেছিলেন তাঁদের নতুন গান লাগবেই। তো তাঁদের কারণেই মনে করলাম, এখন মনে হয় নতুন গান করা উচিত। করে ফেললাম।
প্রশ্ন :
গানটার বিষয় কী?
আমি বিভিন্ন সময়ে মাঠে–ময়দানে গান করতে যাই। আমার শ্রোতারাই আমার গানের প্রাণ। তাঁদের প্রতি আমার যে ছোট ছোট ভালোবাসা, ফিলিংস, সেসব নিয়েই এই গান। গানের শিরোনামে ‘আই লাভ ইউ’, কথাটাও কিন্তু তাঁদের প্রতি ফিলিংসেরই অংশ। গানের ভিডিওতেও মাঠে–ময়দানের জেমস ও শ্রোতাদের দেখা যাবে।
প্রশ্ন :
বলিউডে কাজ করেছিলেন। সেখানে নিয়মিত হলেন না কেন?
সেখানে যদি পেশাদারি নিয়ে কাজ করতাম, তাহলে আমাকে বাংলাদেশ ছেড়ে ওখানেই থাকতে হতো, যা আমার দ্বারা সম্ভব নয়।
প্রশ্ন :
ক্যাসেট, সিডি থেকে গান এখন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে। প্রিয় শিল্পীর অ্যালবামের ছবি সংগ্রহের সুযোগ নেই। ব্যাপারটা ভেবেছেন কখনো?
হ্যাঁ, একটা সময় সব ডিজিটাল হয়ে গেল। অ্যালবাম প্রকাশ বন্ধ হয়ে গেল। এখন তো স্ট্রিমিংয়ে সিঙ্গেল গানে সীমাবদ্ধ থাকতে হয়। তবে সুখবর হচ্ছে, আমরা ও বসুন্ধরা ডিজিটাল চিন্তা করছি গানগুলোর একটা হার্ডকপি বা অ্যালবাম বের করব। কারণ, অ্যালবাম কিন্তু আবার রিভাইভ করছে, রেকর্ড প্লেয়ার মানুষ কিনছে। সিঙ্গেল আকারে বের করার পর সব কটি গান একসঙ্গে অ্যালবাম আকারে বের করার চেষ্টা করব আমরা।
প্রশ্ন :
চার দশক ধরে মঞ্চ মাতাচ্ছেন। আপনার শারীরিক ফিটনেসের রহস্য কী?
বলা যায় গড গিফটেড। ওপরওয়ালার ইচ্ছায় আমি এখনো গান করে যেতে পারছি। দোয়া করবেন আমার জন্য, যেন আরও কিছুদিন গান করতে পারি।
প্রশ্ন :
আপনি ছবি তুলতে পছন্দ করেন...
হ্যাঁ, এটি আমার শখ। কোনো কাজ না থাকলে তখন আমি ফটোগ্রাফি করি। এই করোনার মধ্যে অনেক ছবি তুলেছি।
প্রশ্ন :
ছবির একক কোনো প্রদর্শনীর ইচ্ছা আছে?
না, একেবারই না। ছবি তোলা আমার পেশা নয়, একেবারই শখের। এটি নিয়ে বড় কিছু করার ইচ্ছা নেই।
প্রশ্ন :
কী ধরনের ছবি তুলতে পছন্দ করেন?
দেশের বাইরে গেলে ল্যান্ডস্কেপ, দেশের মধ্যে মানুষের ছবি তুলতে ভালো লাগে।
প্রশ্ন :
ইচ্ছা ছিল, এখনো তোলা হয়নি এমন ছবি?
আমার খুব ইচ্ছা নির্মলেন্দু গুণের ছবি তুলব। খুব ইচ্ছা আছে। কিন্তু এখনো হয়নি। সুযোগ পেলেই তাঁর ছবি তুলব।