এর মধ্যে দলের সদস্য বদলেছে?
শুরুতে দলে যে পাঁচজন ছিলাম, প্রথম অ্যালবাম প্রকাশের পরপরই তাঁদের অনেকে বিদেশে চলে যান। পরে আবার তিনজন যুক্ত হন। গত ১৫ বছর আমরা একত্রেই আছি। পুরোনোদের মধ্যে আমি আর পিয়াল আছি। সে আগে ড্রামস বাজাত, এখন বেজ গিটার বাজায়। লিড গিটারে মিরাজ, ড্রামসে তানভীর ও কি–বোর্ডে আছে শিমু।
কী ছিল আপনাদের গানে যে আজও শ্রোতারা সেসব ভালোবাসেন?
আমাদের গানগুলো মেলোডি বেজড, বাণী ও সুরপ্রধান। এ দুই মিলেই গানগুলো ক্লিক করেছে, সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছেছে। কয়েকটা গান ছিল কিছুটা গভীর, সেগুলো আবার আরেক শ্রেণির শ্রোতার কাছে পৌঁছেছে। যেমন ‘ভালোবাসার তানপুরা’। আরও রয়েছে ‘তুমি পৃথিবীতে’, ‘একাকী আজ’, ‘কিছু কথা কিছু গান আছে’।
মঞ্চে উঠলে শ্রোতারা কোন গানটি আগে শুনতে চান?
‘শ্রাবণের মেঘ’, ‘দৃষ্টি প্রদীপ’, ‘মন কি যে চায় বলো’ করতেই হয়। এগুলো অনেকটা সিগনেচারের মতো হয়ে গেছে। কখনো একাধিকবারও করতে হয়। রোজার কিছুদিন আগে কয়েকটা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শো করেছিলাম। তখন এমনও হয়েছে, দর্শকদের অনুরোধে এক গান কয়েকবার করতে হয়েছে। আসলে ব্যান্ডের গানের একরকমের শ্রোতা থাকে। কিন্তু আমাদের গানগুলো তৃণমূলে, মফস্বল থেকে গ্রামে পৌঁছে গেছে। এটা আমাদের জন্য অনেক আনন্দের। এতটা আমরা প্রত্যাশা করিনি। চেয়েছিলাম, গানগুলো লোকে শুনুক।
আপনাদের নতুন গানগুলোতেও সেই নব্বইয়ের আমেজ পাওয়া যাচ্ছে। সেটা কি সচেতনভাবেই রেখেছেন?
চলে আসে, যেহেতু আমরা ওই সময়কে রিপ্রেজেন্ট করি। আবার বলা চলে, সচেতনভাবেই রাখি। আমরা কিন্তু অনেক গান করার সুযোগ পেয়েছি। ফিল্মে গানের আমন্ত্রণ পেয়েছি। অনেক ভালো গীতিকার, সুরকার আমার সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছে। যখন দেখেছি স্ট্যান্ডার্ড আমাদের সঙ্গে মিলছে না, তখনই আর রাজি হইনি। বলে দিয়েছি যে আমাদের ভালো লাগেনি। সব সময় চেষ্টা করেছি লিরিক যেন ভালো হয়, সুরে যেন একটা স্ট্যান্ডার্ড থাকে। আমাদের গান কিন্তু কম।
তাই বলে একটা ব্যান্ডের দু-একটা ‘কম ভালো’ গান থাকবে না!
(হাসি) এ রকম শুনলে তো ভালোই লাগে।
তাই বলে একটা ব্যান্ডের দু-একটা ‘কম ভালো’ গান থাকবে না!
(হাসি) এ রকম শুনলে তো ভালোই লাগে।
নতুন গানগুলো থেকে সাড়া কেমন?
‘বাবা বলত’, ‘তুমি আসবে বলে’, ‘হাজারও কবিতার মাঝে’, ‘চল না চলে যাই’, ‘বৃষ্টির মতো’, ‘বন্ধু’সহ বেশ কিছু নতুন গান আমরা করেছি। ভালোই সাড়া। ‘বাবা বলত’ থেকে ভালো ফিডব্যাক পেয়েছি, এমনকি আরটিভির একটা অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছি।
চাঁদরাতে খুলনা নিউমার্কেটে নতুন অ্যালবামের গান বাজতে শোনা যেত। নতুন অ্যালবাম আসার আগপর্যন্ত বাজত আপনাদেরগুলো। কেমন লাগত?
নিউমার্কেটটা খুব মিস করি। খুব পছন্দের একটা জায়গা ছিল। নিজেদের গান কত বাজতে শুনেছি। সে অনেক দিন আগের কথা।
খুলনায় যান না বোধ হয় অনেক দিন?
অনেক দিন যাওয়া হয় না; কারণ, আম্মা ঢাকাতেই থাকেন।
ইউটিউবে আপনাদের গানের কাভার পাওয়া যায়। আপনারা নেই কেন?
সবাই তাড়া দিচ্ছে। আমরাও আসব। ইতিমধ্যে তিনটি গানের নতুন করে সংগীতায়োজন করা হয়েছে। ‘ভালোবাসার তানপুরা’, ‘শ্রাবণের মেঘ’, ‘দৃষ্টি প্রদীপ’।
তরুণদের মধ্যে কাদের গান ভালো লাগছে?
ভাইকিংসের গান ভালো লেগেছে। কিছুদিন আগে এয়ারফোর্সের এক অনুষ্ঠানে গান করেছিলাম। সেদিন মিনার নামের একটা ছেলে গান করল। ওর ভয়েস খুব ভালো লেগেছে। ওর পরই আমরা উঠলাম। হৃদয় খানের সঙ্গে শো করেছিলাম চট্টগ্রামে। ওর গানও ভালো লেগেছে।