বাস্তবে এর চেয়ে সহজে প্রেম হয়ে যায়
প্রশ্ন :
ইনস্টাগ্রামে একটি ছবিতে দেখলাম, পায়ে আঘাত পেয়েছেন। নাকি এটা কোনো চরিত্রের অংশ?
অনেকেই মনে করছেন শুটিংয়ের ছবি। আমি আসলে পায়ে আঘাত পেয়েছি।
প্রশ্ন :
কীভাবে?
গত সপ্তাহে শপিংমলে গিয়েছিলাম। একটা শপ থেকে নামার সময় হঠাৎ পা মচকে পড়ে যাই। লিগামেন্টে ব্যথা পেয়েছি। পা সোজা করতে পারছিলাম না। হাঁটতে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছিল। চিকিৎসকের পরামর্শে এখন দুই সপ্তাহের বিশ্রামে আছি।
প্রশ্ন :
এর মধ্যে কোনো শুটিং ছিল?
ঈদের একাধিক কাজ ছিল। একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মের বিশেষ কাজ ছিল। অসুস্থতার কারণে আপাতত সবই পেছাতে বাধ্য হয়েছি। মার্চের মাঝামাঝি থেকে আবার শুরু করব।
প্রশ্ন :
ভালোবাসা দিবসের কাজগুলো নিয়ে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
এবারের ভালোবাসা দিবসের পাঁচটি গল্পই দর্শক খুব পছন্দ করেছেন। ফাগুন থেকে ফাগুন, ইয়ারমেট, ভালোবেসে যাইসহ সব কটিই দর্শক পছন্দ করেছেন।
প্রশ্ন :
‘ফাগুন থেকে ফাগুনে’ নাটকের গল্পে দেখা গেল খুব সহজেই আপনাদের পরিচয়, পরে প্রেম হয়ে যায়। বাস্তবে কি এমনটা সম্ভব?
বাস্তবে এর চেয়ে সহজে প্রেম হয়ে যায়। প্রেম আসলে প্রথম দেখাতেই হয়ে যায়। আবার ব্যতিক্রমও আছে। আর চোখের পলকে প্রেম হলেও দুজনের কথা বলা, বোঝাপড়া, জানাশোনার জন্য একটু সময় লেগে যায়। এটা মানি, নাটকের চেয়ে বাস্তব জীবনের প্রেম অনেক দ্রুত হয়। নাটকে সময়স্বল্পতার কারণে ভালোবাসাকে দর্শকের কাছে প্রতিষ্ঠা করার ততটা সময় পাওয়া যায় না। তবে টেলিফিল্মে ভালোবাসাটা ভালো করে দেখানো হয়।
প্রশ্ন :
৮ বছর আগে অভিনয় শুরু করেন, অভিনয় পেশা নিয়ে কোনো দোটানা ছিল?
২০১৩ সালে কাজ শুরু করলেও ২০১৫ থেকে নিয়মিত নাটকে অভিনয় শুরু করি। পেশা হিসেবে অভিনয় করব কি না, এই সিদ্ধান্ত নিতেই দুই বছর চলে গেছে।
ইচ্ছা ছিল না?
অভিনয় করব, এমন ইচ্ছা আমার কখনোই ছিল না। আমার একমাত্র চিন্তা ছিল পড়াশোনা শেষ করে ব্যাংকে জব করা। কিন্তু একটু করে অভিনয় শুরুর পর মিডিয়া অঙ্গনটা ভালো লাগতে শুরু করল। কাছের মানুষেরা বলতেন, ‘তোমাকে এই অঙ্গনটা চাচ্ছে, তুমি ভালো করবে, তোমার নিয়মিত অভিনয় করা উচিত।’ অনেকেই উৎসাহ দিচ্ছিলেন। তখন আমার একটু করে পরিচিতি বাড়ছে। পত্রিকায় ছবি দেখলে ভালো লাগত। কিন্তু পরিবার প্রথম দিকে অভিনয় করা পছন্দ করত না। পড়াশোনার পাশাপাশি অভিনয় করতে বলত। একসময় তারা আমার ক্যারিয়ার আমার ওপরই ছেড়ে দেয়।
প্রশ্ন :
শুরুটা কেমন ছিল?
যখন ছোট ছিলাম, তখন শুটিং করতে অনেক কষ্ট হতো। তখন রাত ৯টার মধ্যে বাসায় ফেরা বাধ্যতামূলক ছিল। পরে এক ঘণ্টা বাড়িয়ে দিল। সময় ধরে আসাটা আমার জন্য অনেক সমস্যা ছিল। পরে গভীর রাতে ফিরতে হতো দেখে মা সঙ্গে যেতেন। একসময় মা শুটিংয়ের বিষয়টা বুঝতে থাকেন। তখন একাই যেতাম। আমি সব সময় শুটিং থেকে ফিরে মায়ের কাছে সত্য কথা বলতাম। এই জন্য মায়ের আমার প্রতি আস্থা আছে। কিন্তু একটা আফসোস, মা–বাবাকে সময় দিতে পারি না। অভিনয় ও ব্যক্তিগত কাজে সারাক্ষণ দৌড়ের ওপর থাকি। এই যে আমি আহত হয়েছি, এ ঘটনায় মা কষ্ট পেলেও তাঁরা আমাকে বিশ্রামে থাকতে দেখে খুশি হয়েছেন। বাবা তিন সপ্তাহের আগে কাজে ফিরতে দেবেন না।
প্রশ্ন :
ক্যারিয়ার ধরে রাখতে হবে, এমনটা মনে হয়?
ক্যারিয়ার ধরে রাখত হবে, এটা তো প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জ। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই এই চ্যালেঞ্জ শুরু হয়। আমি সব সময় নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে চাই। ভুল থেকে শিক্ষা নেই।
কাজের বাইরে আপনার জীবনের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় কী?
আমার জীবনটার অপর নাম মা–বাবা, তাঁদের খুশি রাখা। তাঁরাই আমার কাছে প্রথম প্রায়োরিটি।