‘আমি কখনো স্রোতে ভাসি না’
ওয়েব ফিল্ম কনটেন্ট মানেই থ্রিলার। দেশের বেশি ভাগ নির্মাতা যখন থ্রিলারের পেছনে ছুটছেন, তখন সামাজিক বার্তার কমেডি গল্প নিয়ে কাল ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকিতে হাজির হচ্ছেন নির্মাতা আদনান আল রাজীব। ছবির নাম ‘ইউটিউমার’। ওয়েব ফিল্মটি প্রসঙ্গে রাজীব জানালেন, এটা দেশের তরুণদের গল্প। তাঁর দেখা চারপাশের জগৎ থেকে গল্পটি নেওয়া।
কমেডি জনরার গল্পটি নিয়ে এই নির্মাতা বললেন, ‘আমি কখনো স্রোতে ভাসি না। এমন না যে আমাকে থ্রিলারই বানাতে হবে। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, কেন আমি এই গল্প নির্মাণ করলাম? কাজের জন্য আমরা কিন্তু আশপাশের দেশ, বিশেষ করে ভারতের ইন্ডাস্ট্রিকে অনেকটাই ফলো করি। সেখানে “সেক্রেড গেমস” বা “মির্জাপুর” যখন জনপ্রিয় হয়, তখন আমাদের অনেকেই ধরেই নেয় ওয়েব কনটেন্ট মানেই থ্রিলার–জাতীয় কিছু একটা হতে হবে। আশপাশে যা হচ্ছে, সেই স্রোতেই ভাসতে হবে, এটাতে আমি বিশ্বাসী নই। সততার জায়গা থেকে কাজটি করতে পারলে শুধু থ্রিলার নয়, যেকোনো জনরাই দর্শক দেখবেন।’
বর্তমান তরুণ প্রজন্ম কোন পথে হাঁটছে, ছবিতে সেগুলোই হাস্যরসের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন আদনান আল রাজীব। এই গল্প দেখে দর্শক যেমন হাসবেন, তেমনি সামাজিক অবক্ষয়গুলোও টের পাবেন। তরুণ দর্শকদের বিনোদনের মধ্য দিয়ে বার্তা দিতেই এমন একটি গল্প বেছে নিয়েছিলেন আদনান।
আদনান বলেন, ‘ক্যারিয়ারে যতগুলো কাজ করেছি, সবই এক্সপেরিমেন্টাল হিসেবে নিয়েছি। নিজেকে প্রুফ করার জন্য বিভিন্ন জনরায় গল্প বলার চেষ্টা করি। অন্যদের থেকে একটু আলাদা ভাবনা দর্শকদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। এভাবে কাজ করে আগেও সফলতা পেয়েছি। সেই আত্মবিশ্বাস থেকে এবার চরকির জন্য “ইউটিউমার” নির্মাণ করেছি। সমসাময়িক কিছু তরুণের লাইফস্টাইল নিয়ে গল্প। চরকি আমাদের একটি ফিল্ম বানানোর স্বাধীনতা দিয়েছিল। আমরা সেভাবেই কাজটি করেছি।’
আগে নাটক বিজ্ঞাপন বানালেও এই প্রথম ৯০ মিনিটের ওয়েব ফিল্ম বানিয়েছেন আদনান। কাজের ফাঁকে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছুটা সময় কাটান। চারপাশে যা যা ঘটছে, সেগুলো সম্পর্কে অভিজ্ঞতা নেওয়ার চেষ্টা করেন। আদনান বলেন, ‘“ইউটিউমার” নির্মাণের আগে অনেক বেশি সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যয় করেছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বেশ কিছু চরিত্রকে স্টাডি করতে হয়েছে। আশা করছি ইউটিউমার দর্শকদের অন্য রকম বিনোদন দেবে।’
‘ইউটিউমার’-এ অভিনয় করেছেন প্রীতম হাসান, জিয়াউল পলাশসহ অনেকেই।