‘নীল মুকুট’ দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি জয়া

জয়া আহসান

কামার আহমাদ সাইমনের কাজের সঙ্গে আগে থেকেই পরিচিত জয়া আহসান। আগের সিনেমাগুলো দেখে এই নির্মাতার পরবর্তী কাজ দেখার অপেক্ষায় ছিলেন এই অভিনেত্রী। নীল মুকুট মুক্তি পাওয়ার পরপরই তাই দেখেছেন জয়া। বলেছেন, ‘সিনেমাটি দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি।’ ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকিতে ৮ আগস্ট মুক্তি পেয়েছে ডকু ড্রামা নীল মুকুট। মুক্তির পর থেকে সিনেমাটি তার বিষয়বস্তু ও নির্মাণশৈলীর জন্য প্রশংসা কুড়াচ্ছে।
চরকিকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় জয়া আহসান বলেন, ‘কামার আগেও সিনেমা বানিয়েছেন। বড় চলচ্চিত্র উৎসব থেকে সুনাম কুড়িয়ে এনেছেন। সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা, কামারের সিনেমায় বরাবরই বাংলাদেশের মানুষের ভীষণ সজীবতা আর অন্তরঙ্গতা দেখতে পাই। সিনেমাটি দেখতে দেখতে বারবার আমার চোখ ভিজে আসছিল। মনে হচ্ছিল, আমি কোনো সিনেমা দেখছি না, চোখের সামনে যে ঘটনাগুলো ঘটেছিল, সেগুলো দেখছি।’

জয়া আহসান

অভিনেত্রী জয়া আরও জানান, মানুষের খাঁটি প্রাণবন্ত চিত্রায়ণ সহজ কাজ নয়। এই অভিনেত্রী মনে করেন, নীল মুকুট বড় পর্দায় দেখার মতো ছবি। সিনেমাটি দেশের মানুষকে আরও বেশি করে দেশকে চেনাবে। দেশের চলচ্চিত্র সম্পর্কে দর্শকের আস্থাকে ফিরিয়ে আনবে। এমনকি চলচ্চিত্র সম্পর্কে মানুষের ধারণাকে আরও প্রসারিত করবে।

কামার আহমাদ সাইমনের কাজের সঙ্গে আগে থেকেই পরিচিত জয়া আহসান

সিনেমাটি সম্পর্কে অন্য এক ভিডিও বার্তায় নির্মাতা অমিতাভ রেজা বলেন, ‘আমাদের সিনেমার যে ভিজুয়াল ভোকাবুলারি, যে ন্যারেটিভ আছে, সে ন্যারেটিভের মধ্যে এই সিনেমা একটি নতুন ভোকাবুলারির জন্ম দেবে।

এটা শুধু এই সময়ের গুরুত্বপূর্ণ সিনেমাই নয়, মনে হয়েছে, নীল মুকুট আমাদের সিনেমা দেখার ও নির্মাণের নতুন ভঙ্গি তৈরি করতে উৎসাহিত করবে। সিনেমাটিকে কে কীভাবে দেখবেন, বিচার করবেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে, সিনেমাটি আমাদের চলচ্চিত্র ইতিহাসে একটি নতুন মোড় বা ভাবনার জন্ম দেবে। কামার ও প্রযোজক সারাকে অভিনন্দন।’

অমিতাভ রেজা চৌধুরী
প্রথম আলো

নীল মুকুট সিনেমাটির কোনো লিখিত চিত্রনাট্য ছিল না। বাস্তবে যা ঘটছে, তা–ই দক্ষতার সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শুটিং করেছেন। সিনেমার পরতে পরতে থাকে মানবিক গল্প।

জয়া আহসান

ট্রেনে ভিড়ের মধ্যে দুজন পুলিশ সহকর্মীর কথা আলাদাভাবে নজর কাড়ে। সামনে আসে ইউএন মিশনে যাওয়া মেয়েদের অবদান। এই দুই চরিত্রের মাধ্যমে জানা যায়, দায়িত্ব পালনের সময়েও তাদের মধ্যে অনেক মজার ঘটনা ঘটে, থাকে মান–অভিমান, অভিযোগ–অনুযোগ। সবকিছু ছাপিয়ে তারা একটি পরিবার। দায়িত্ব পালনের মধ্যেও তারা ভিন্ন দেশ থেকে পরিবার সামলান। এমন অনেক ঘটনা নিপুণভাবে ক্যামেরায় ধারণ করেন নির্মাতা কামার।