আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়ে আরমান খানের ‘আসা–যাওয়া’

আইয়ুব বাচ্চুর প্রয়াণ দিবসে তাঁকে নিয়ে একটি গান প্রকাশ করলেন আরমান খান। ‘আসা-যাওয়া’ শিরোনামের এই গানের কথা লিখেছেন আইয়ুব বাচ্চুর একাধিক জনপ্রিয় গানের লেখক বাপ্পী খান। গানটি সুর ও সংগীত করার পাশাপাশি গেয়েছেনও আরমান খান। গানটি প্রকাশ করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি সিরিজ।

আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গে আসা–যাওয়া গানের শিল্পী ও সুরকার আরমান খান
ছবি : সংগৃহীত

‘আসা-যাওয়া’ গানটি তৈরির গল্প সম্পর্কে জানতে চাইলে আরমান খান বলেন, ‘খুব দ্রুত সময়ে গানটি তৈরি করেছি। বাপ্পী ভাইকে ফোন দিয়ে বললাম, বাচ্চু ভাইকে উৎসর্গ করে একটি গান করতে চাই। তারপর তিনি আমাকে দুটি গান পাঠালেন। এর মধ্য থেকে আমি “আসা–যাওয়া” গানটি নির্বাচন করি।’

আইয়ুব বাচ্চুকে উৎসর্গ করে গান তৈরির চিন্তা কী হুট করেই মাথায় এসেছে? ‘বাচ্চু ভাইয়ের সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি। ২০১৮ সালে এলআরবির জন্মদিনে বাপ্পী ভাইয়ের সঙ্গে বাচ্চু ভাই-ই আমাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। ওই দিনের পর বাপ্পী ভাইয়ের সঙ্গে আমার আর দেখা হয়নি।

আইয়ুব বাচ্চু ও তাঁর ব্যান্ড এলআরবি সদস্যদের সঙ্গে সামনে বসা আরমান খান (বামে) ও বাপ্পী খান (ডানে)
ছবি : সংগৃহীত

অক্টোবরের শুরুর দিকে মনে হলো, বাচ্চু ভাইকে ট্রিবিউট করে কিছু একটা করা উচিত। এরপরই মনে এলো বাপ্পী ভাইয়ের নাম। কারণ, বাচ্চু ভাইয়ের কণ্ঠের বেশ কিছু শ্রোতাপ্রিয় গান বাপ্পী ভাইয়ের লেখা। তিনি আমাকে গান পাঠানোর পর ১৮ অক্টোবরকে টার্গেট করে দ্রুত সময়ের মধ্যে গানটি তৈরি করি,’ বললেন আরমান খান।

আরমান খান বললেন, ‘গানের কথা পাওয়ার পর আমার মতো করে সুর করেছি। সুর করতে গিয়ে মনে হয়েছে, এই গান বাচ্চু ভাইকে দিয়ে গাওয়াতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু বাচ্চু ভাই তো আর নেই। তাই এই গানের মধ্যে তাঁর একটা ছায়া রাখতে চেয়েছি। গানের মধ্যে কমন একটা ইন্টারলুড মিউজিক রেখেছি, যেটা বাচ্চু ভাইয়ের বিখ্যাত একটি গানে ব্যবহার করা হয়েছে। তবে পুরোপুরি এক নয়, ছায়া অবলম্বনে বলতে পারেন। যাতে শ্রোতারা বুঝতে পারেন এটি আইয়ুব বাচ্চু এবং গানটির সঙ্গে সম্পর্কিত।’

আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গে আসা–যাওয়া গানের শিল্পী ও সুরকার আরমান খান

গানটির গীতিকার বাপ্পী খান বললেন, ‘আরমান খান আমাকে ফোন করে জানাল, সে বাচ্চু ভাইকে ট্রিবিউট করে একটি গান গাইতে চায়। বসকে (আইয়ুব বাচ্চু) নিয়ে কোনো গান লিখে দিতে পারব কি না?

আরমান খান
সংগৃহীত

আমি তাঁকে বললাম, এই মুহূর্তে তাঁকে নিয়ে গান লেখার মতো মানসিক অবস্থাও নাই। অথবা কোনো কিছু লিখলে মনটাও ভরবে না। তাই লিখতেও চাই না। তখন সে বলল, অন্য কোনো গান দেন, যেটা দিয়ে বাচ্চু ভাইকে ট্রিবিউট দেওয়া যাবে। তখন ডায়েরি থেকে গান দিলাম, সে তৈরি করল।’
বাপ্পী খান বললেন, ‘যত গান আমার প্রকাশিত হয়েছে, নব্বই ভাগই বাচ্চু ভাইয়ের সুর করা। আমার লেখার প্যাটার্নে তাই অবচেতনে বাচ্চু ভাইয়ের একটা প্রভাব থাকে হয়তো। আরমানও চেষ্টা করেছে গানের মধ্যে নব্বই দশকের ফ্লেভার আনার। গাওয়ার পর গানটি শুনেছি, আমার ভালো লেগেছে। আশা করছি শ্রোতাদেরও ভালো লাগবে।’