ইউটিউব তারকা জামাল আর নেই

জামাল এডওয়ার্ডস
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া

ইউটিউব তারকা জামাল এডওয়ার্ডস মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৩১ বছর। মিউজিক প্ল্যাটফর্ম এসবিটিভির প্রতিষ্ঠাতা জামালের চ্যানেল থেকে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ডেভ, এড শিরান ও স্কেপটার মতো জনপ্রিয় শিল্পীরা। ব্রিটিশ এই উদ্যোক্তার মৃত্যুর খবর বিবিসিকে নিশ্চিত করেছে তাঁর প্রতিষ্ঠান। জামাল গত রোববার সকালে মারা গেলেও, তাঁর মৃত্যুর বিস্তারিত কোনো তথ্য জানা যায়নি।

জামাল এডওয়ার্ডসের প্রতিকৃতির সঙ্গে এড শিরান
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া

ব্রিটিশ র‌্যাপ ও গ্রিম মিউজিকের অন্যতম অগ্রদূত জামাল ছিলেন প্রিন্সেস ট্রাস্টের শুভেচ্ছাদূত ছিলেন। উদ্যোক্তা হতে আগ্রহী তরুণদের নিজেদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালু করতে সহযোগিতা করে প্রিন্স অব ওয়েলস পরিচালিত এই ট্রাস্ট।

নিজের প্ল্যাটফর্মে তরুণদের সুযোগ করে দিতেন জামাল
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া

১৫ বছর বয়সে বড়দিনের উপহার হিসেবে বাবা-মায়ের কাছ থেকে একটি ভিডিও ক্যামেরা উপহার পান জামাল এডওয়ার্ডস। সেটি নিয়ে শুরু হয় তাঁর সিনেমা বানানোর চেষ্টা। সেই অনুপ্রেরণাই তাঁকে এগিয়ে নেয় চ্যানেল প্রতিষ্ঠায়। স্কুলে পড়ার সময় ২০ পাউন্ড স্টারলিংয়ের (২ হাজার ৩০০ টাকা) ফোন দিয়ে তিনি ইউটিউব চ্যানেল শুরু করেন। একপর্যায়ে ব্রিটিশ র‌্যাপ সংগীতে জামাল এডওয়ার্ডস একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। র‌্যাপ গানের প্রতি ভালোবাসা ছিল বলে এ ঘরানার সংগীতচর্চা করা তরুণদের নিজের চ্যানেলে তুলে ধরতেন জামাল। স্টোর্মজি, স্কেপটা, জেএমই, জে হাস, লেডি লেশার, এ জে ট্রেসি, ক্রেপ্ট অ্যান্ড কোনান, হেইডি ওয়ানসহ বহু র‌্যাপ তারকার শুরু হয়েছিল জামালের চ্যানেল থেকে। নিজের প্ল্যাটফর্ম থেকে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন করতেন তিনি। আর এসব কাজের বিনিময়ে কখনোই নিজের নাম ফলাও করে প্রচার করতে চাননি জামাল।

জামাল ও তাঁর মা ব্রেনডা এডওয়ার্ডস
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া

গায়িকা ও ‘লুজ ওমেন’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা ব্রেনডা এডওয়ার্ডসের ছেলে জামাল। সন্তানের মৃত্যুতে তিনি ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছেন। একটি নোটে ব্রেনডা জানিয়েছেন, ‘জামাল হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। আমি, তার বোন তানিশা, আমাদের পুরো পরিবার ও জামালের বন্ধুরা তাদের মধ্যমণিকে হারিয়ে ভীষণ ভেঙে পড়েছি। আমাদের প্রত্যাশা, অননুমেয় এই ক্ষতির দমক সামলাতে আমাদের একটু সময় দেবেন। যাঁরা পাশে ছিলেন, ভালোবাসা জানিয়ে মেসেজ পাঠিয়েছেন, তাঁদের ধন্যবাদ। জামাল আমার ও বহু মানুষের প্রেরণা। তার প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও তার স্মৃতি জাগরূক থাকবে। জামাল এডওয়ার্ডসের (এমবিই, এমবিএ, পিএইচডি) স্মৃতি অমর হোক।’