কোটি পেরোল সাব্বির-সম্পার ‘বিনোদিনী রাই’

বাংলাদেশের গায়ক সাব্বির নাসির এবং ‘সারেগামাপা’খ্যাত কলকাতার কণ্ঠশিল্পী সম্পা বিশ্বাসের প্রথম ডুয়েট গান ‘বিনোদিনী রাই’ প্রকাশ পায় বেশ কয়েক মাস আগে। করোনাকালে যখন সবাই লকডাউনে, সেই সময় তখন। প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে গানটি ও এর স্টুডিও ভার্সনের গানচিত্রটি দুই বাংলায় জনপ্রিয় হয়। অল্প সময়ে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বের সিলেট জেলার ধামাইল আঙ্গিকে গাওয়া এই গানটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটক, নেটমাধ্যমের বিভিন্ন মঞ্চে গানের শ্রোতার সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলে। আজ গানটির ভিউ ইউটিউবে কোটির ঘর অতিক্রম করেছে ।

গায়ক সাব্বির নাসির এই খবর তাঁর ফেসবুকে শেয়ার করে লিখেন, ইউটিউবে এক কোটি ভিউ অতিক্রম করল আজ ‘বিনোদিনী রাই’। দুই বাংলার লাখো কোটি মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত এই সৃষ্টি। অনেক কৃতজ্ঞতা শ্রোতা–দর্শকদের প্রতি, যাঁদেরই গান এই ‘বিনোদিনী রাই’। জন্ম–জন্মান্তরের ভালোবাসা রইল।

সাব্বির নাসির
ছবি: সংগৃহীত

‘বিনোদিনী রাই’ গানটির কথা লিখেছেন ও সুর দিয়েছেন প্লাবন কোরেশী। মূলত প্লাবন কোরেশীই এই দুই শিল্পীর মধ্যে সমন্বয় করেন।

গত বছরের এপ্রিল মাসে সংগীতশিল্পী সাব্বির নাসিরের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে ও ফেসবুক পেজে গানটি প্রকাশ করা হয়।পরবর্তী সময়ে সম্পা বিশ্বাসের ইউটিউব চ্যানেলেও গানটি প্রকাশিত হয়।

শিল্পী সাব্বির নাসির গত কয়েক বছরে বেশ কিছু নতুন গান নিয়ে আসে। ২০২০ সালে তাঁর ‘আবোল তাবোল’ গানটি প্রকাশের পর বেশ প্রশংসা কুড়ান তিনি। তাঁর ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেলে গানটির সংগীতচিত্র প্রকাশ পায়। এর আগে ‘হর্ষ’, ‘ফুল ফোটাবো’, ‘ফাগুন আসছে’, ‘জল জোছনা’, ‘পোকা’, ‘আমারে দিয়া দিলাম তোমারে’, ‘মৃত জোনাকি’, ‘তুমি দমে দম’সহ বেশ কয়েকটি গান বেরিয়েছিল সংগীতচিত্রসহ।

১৯৯৮ সালে মেটামরফসিস নামের একটি ব্যান্ডের ভোকাল হিসেবে সংগীতে যাত্রা শুরু করেছিলেন সাব্বির নাসির। গিটারিস্ট হিসেবে বাজিয়েছেন দেশের খ্যাতনামা বেশ কজন শিল্পীর সঙ্গে। একসময় গোপন আক্ষেপ নিয়ে নিভৃতে চলে যান তিনি। পরে ২০ বছর পর বদলে যাওয়া সময়ে তরুণদের অনুপ্রেরণা তাঁকে আবারও গানে ফিরিয়ে এনেছে। ১৯৯৮ সালের পর সাব্বির নাসির আবার ২০১৮ সালে ‘তুমি যদি বলো’ গানটি দিয়ে ফেরেন সংগীতজগতে।