কোক স্টুডিও এবার বাংলায়

সোমবার ঢাকার একটি পাঁচতারা হোটেলে এই প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন হয়

‘কোক স্টুডিও’র বাংলা সংস্করণ ‘কোক স্টুডিও বাংলা’ নিয়ে এলো কোকা-কোলা বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানটি ঐতিহ্যবাহী বাংলা গানের রূপ ভিন্ন আঙ্গিকে তুলে ধরবে। বিভিন্ন ঘরানার শিল্পীদের একত্র করে এই আয়োজনে নতুন আঙ্গিকে গান প্রকাশ করবে। এর মাধ্যমে সারা দেশের সংগীতপ্রেমীরা ফিউশনধর্মী গান উপভোগের সুযোগ পাবেন। সংগীতের মাধ্যমে সংস্কৃতি ও মানুষের মধ্যে সংযোগের কাজ করছে কোক স্টুডিও। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি কোক স্টুডিও বাংলার প্রথম সিজনের প্রথম পর্ব প্রচারিত হবে।
জানা গেছে, প্রথম সিজনে মোট ১০টি গান থাকবে। পাশাপাশি বিভিন্ন উৎসব উদ্‌যাপন উপলক্ষে প্রকাশ করা হবে আরও কয়েকটি গান। প্রথম সিজনে বাংলাদেশের সংগীত জগতের সেরা কিছু সৃষ্টি তুলে ধরা হবে। এর মধ্যে আছে দেশি এবং পার্বত্য অঞ্চলে প্রচলিত গানসহ আরও অনেক কিছু। সংগীতের এই বিশেষ ফিউশনে শ্রোতারা মুগ্ধ হবেন আশা করা যাচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, কোকা–কোলা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তা জি তুং এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ

আজ সোমবার ঢাকার একটি পাঁচতারা হোটেলে এই প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই আয়োজনের থিম সং ‘একলা চলো রে’ প্রকাশ করা হয়। এই পরিবেশনায় অংশ নেন অর্ণব, বাপ্পা মজুমদার, সামিনা চৌধুরী, মমতাজ, কণা, পান্থ কানাই, ঋতুরাজ, নন্দিতা, রুবায়াত, মাশা, মিজান, তালেব, অনিমেষ রায় এবং শেখ ইশতিয়াক।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কোকা-কোলা বাংলাদেশের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেলে এবং স্পটিফাইয়ের মাধ্যমে সংগীতপ্রেমীরা এই ফিউশনধর্মী প্ল্যাটফর্মের গানগুলো উপভোগ করতে পারবেন। দর্শকদের চমৎকার সব গান উপহার দেওয়ার জন্য সংগীত প্রযোজক হিসেবে স্টুডিওতে যুক্ত হয়েছেন অর্ণব।

বাংলাদেশে কোক স্টুডিও বাংলার আনুষ্ঠানিক যাত্রা উপলক্ষে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘আমরা একটি সংস্কৃতি ও সংগীতপ্রেমী জাতি। বায়ান্ন সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত গান আমাদের জাতীয় জীবনের প্রধান মাইলফলক ও ঐতিহাসিক আন্দোলনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে থেকেছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মাসে পৃথিবীর বাংলাভাষী মানুষের জন্য ‘কোক স্টুডিও বাংলা’র সূচনা নিয়ে আসা একটি চমৎকার উদ্যোগ বলে আমি মনে করি।’
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বিনোদন জগৎসহ দেশের প্রতিটি খাতেই এখন ডিজিটাল অবকাঠামোর উন্নয়ন দৃশ্যমান। আমাদের দর্শকেরা এখন অনলাইনে কনটেন্ট দেখছেন এবং তাতে সাড়া দিচ্ছেন—ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই অনুষ্ঠানের যাত্রার সূচনা তারই সাক্ষ্য দেয়।’

সংগীত প্রযোজক অর্ণব বলেন, ‘কোক স্টুডিও সাংস্কৃতিক ফিউশনের প্রতীক। এই প্ল্যাটফর্মে সংগীত প্রযোজক হিসেবে যোগ দিতে পারাটা আমার জন্য খুব গর্বের বিষয়। দর্শকেরা কোক স্টুডিও বাংলার অনন্য সৃষ্টিগুলো উপভোগ করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।’
কোকা-কোলা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তা জি তুং বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষদের জন্য জাদুকরি ও চমৎকার মুহূর্ত সৃষ্টি করে আমরা সবার জীবনকে উপভোগ্য করে তুলতে চাই। বাংলাদেশে আমাদের কার্যক্রমের ৬০তম বছর উদ্‌যাপন করছি আমরা। এ উপলক্ষে অসাধারণ সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ এই জাতির জন্য প্রথমবারের মতো “কোক স্টুডিও বাংলা” উপহার দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের পণ্যের মতো এই প্ল্যাটফর্মের সৃষ্টিগুলোও দর্শকদের তৃষ্ণা মেটাতে সক্ষম হবে।’