গানে-শ্রদ্ধায়-স্মরণে লাকী আখান্দের জন্মদিন উদ্যাপন
‘আগে যদি জানতাম’, ‘আবার এল যে সন্ধ্যা’, ‘কে বাঁশি বাজায় রে’, ‘লিখতে পারি না কোনো গান’সহ অসংখ্য কালজয়ী গানের সুরের স্রষ্টা লাকী আখান্দ্। মঙ্গলবার ৭ জুন ছিল এই সুরকার, সংগীত পরিচালক ও গায়কের জন্মদিন। তাঁর ৬৬তম জন্মদিন উদ্যাপন করতে রাজধানীর এক তারকা হোটেলে একত্র হন দেশের সংগীতশিল্পীরা।
২০ বছর ধরে অপ্রকাশিত গানের রিলিজ, স্মৃতিচারণা ও সংগীতায়োজনের মধ্য দিয়ে লাকী আখান্দের জন্মদিন উদ্যাপন করেন তাঁরা। একই সঙ্গে প্রথমবারের মতো লাকী আখান্দের সুরে গাওয়া ‘সে গানেরই পাখি’ গানের অডিও-ভিডিও রিলিজ করা হয়। গানটি লিখেছেন গোলাম মোরশেদ আর কণ্ঠ দিয়েছেন মেহরিন। ‘সে গানেরই পাখি’ গানের সংগীতায়োজন করেছেন রূপক। এ ছাড়া লাইমলাইট স্টুডিওর প্রযোজনায় গানের ভিডিওটির নির্মাতা তাজওয়ার ইয়াকিন এবং এস কে নাঈম। ভিডিওটিতে মা ও মেয়ের চরিত্রে মডেল হিসেবে অংশ নেন নাজিফা আয়াত ও তাসনুভা।
‘লাকী আখান্দের ভক্তকুল’-এর উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন আনিসুল হক ফাউন্ডেশনের অন্যতম ট্রাস্টি নাভিদুল হক। কেক কাটার মধ্য দিয়ে শুরু হয় শিল্পী লাকী আখান্দের জন্মদিনের এ আয়োজন। এরপর লাকী আখান্দের সৃষ্টিশীল জীবন নিয়ে স্মৃতিচারণা করেন বংশীবাদক ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম, গীতিকার গোলাম মোরশেদ, ফাহমিদা নবী, মেহরিন, ফোয়াদ নাসের বাবু।
অনুষ্ঠানে গানটির ভিডিও চিত্র নির্মাণের নেপথ্য ফুটেজ প্রদর্শনের পাশাপাশি লাকী আখান্দের স্মৃতিবিজড়িত ভিডিও ফুটেজ প্রদর্শন করা হয়। এ সময় মেয়র আনিসুল হক ও শিল্পীর বিভিন্ন ফুটেজ দেখে উপস্থিত দর্শক–শ্রোতাদের আবেগাপ্লুত হয়ে পড়তে দেখা যায়।
শিল্পী ফোয়াদ নাসের বাবু এরপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শিল্পীর পাশে ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমে আবার নতুন জোয়ার সঞ্চারের জন্য ট্রাস্টিদের প্রতি আহ্বান জানান। পরে বিশেষ অতিথি নাভিদুল হক তাঁর বক্তব্যে শিল্পীদের অভিবাদন জানিয়ে বলেন, ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে তৎপর হবেন তিনি। পাশাপাশি শিল্পীদের কল্যাণে কার্যকর সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসার জন্য সরকারের প্রতিও অনুরোধ জানান তিনি।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে লাকী আখান্দের ডজনখানেক গান দিয়ে সাজানো প্রায় ৪০ মিনিটের একটি মনোমুগ্ধকর জ্যামিং সেশন উপহার দেন সমবেত শিল্পী ও তারকারা। এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন কয়েক প্রজন্মের সংগীতশিল্পীরা।