তপন চৌধুরীর পুরোনো কিছু গান নতুন করে আনছেন অর্ণব
বড় হয়ে গায়ক নয়, আঁকিয়ে হতে চেয়েছিলেন অর্ণব। ‘বড় মঞ্চের তারকা’ অনুষ্ঠানে চিত্রনায়িকা পূর্ণিমার এক প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানান এই সংগীতশিল্পী। জবাবে অর্ণব বলেন, ‘আমার মা–বাবা দুজনই আর্টিস্ট। ছোটবেলাই তাঁদের দেখতাম ছবি আঁকতে। আমি জানতাম, আমিও ছবি আঁকব, যেটা আসলে হয়নি। তবে এখন শান্তিনিকেতনে গিয়ে ছবি আঁকার চর্চা করছি। ছবি আঁকাটাই মাথায় ছিল, গানবাজনাটা ছিল না। বাসায় সেভাবে কেউ গান করত না। অবশ্য তপন (চৌধুরী) কাকুকে দেখেছি গান করতেন। তাঁকে দেখতাম গানের প্র্যাকটিস করতে। সবাই মিলে গান করত। তবে ছবি আঁকা নিয়ে পড়াশোনা করব, এটা অনেক আগেই ঠিক করা ছিল।’
দেশের সীমানা পেরিয়ে ভিনদেশে নিজেদের দ্যুতি ছড়াচ্ছেন বাংলাদেশের যেসব তারকা, তাঁদের নিয়েই প্রথম আলোর আয়োজন ‘বড় মঞ্চের তারকা’। হাতিল নিবেদিত এ অনুষ্ঠান প্রথম আলোর অনলাইন, ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে দেখা যাচ্ছে। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করছেন দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। এ অনুষ্ঠানের গত পর্বে পূর্ণিমার অতিথি ছিলেন অর্ণব।
অনুষ্ঠানে পূর্ণিমা জানতে চান, তপন চৌধুরীর সঙ্গে একসঙ্গে গান করা হয়েছে কি না? জবাবে অর্ণব বলেন, ‘মঞ্চে আমরা একবার–দুবার গান করেছি হঠাৎ, এমনিতে গাওয়া হয়নি। তবে অনেক আগে একটা গান রেকর্ড করেছিলাম। তারপর মিউজিক করব করব করে আর করা হয়নি। পুরোনো কিছু গান নতুন করে করার কথা চলছে। স্টুডিওতে বসে গান রেকর্ড করতে পারছি না চার–পাঁচ বছর ধরে। এটা আমার ভালো লাগছিল না, এখন আবার শুরু করব।’
জীবনে আপনার অনেক অর্জন। এ অর্জনগুলো কী আনন্দ দেয়, চাপে ফেলে, নাকি একদমই ভাবায় না? পূর্ণিমার এ প্রশ্নে অর্ণবের সোজাসাপ্টা উত্তর, ‘অত চিন্তায় ফেলে না, তবে ভাবায়। কারণ, মাঝেমধ্যে কিছু তৈরি করতে যখন কষ্ট করি, তখন ভাবায়। নিজের জীবন থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করে গান করার চেষ্টা করি। কিন্তু যখন নিজেকে শাটডাউন করে রাখি, কোনো গান আসে না, তখন মাঝেমধ্যে ভাবি। আবার মাঝেমধ্যে মনে হয়, আগে যেমন ভাবে কাজ করতাম, গান তৈরি করতাম, সেভাবে পারব তো এখন? এই একটা চাপ মাঝেমধ্যে হয়।’