তিনি আমাদের সংস্কৃতির কণ্ঠস্বর

গুলজারের কথায় অনেকগুলো গানে কণ্ঠ দিয়েছেন লতা মঙ্গেশকর
ইনস্টাগ্রাম

তিনি চলে গেলেন। তিনি ছিলেন জাদুকরী কণ্ঠের অলৌকিক গায়িকা। তাঁর প্রশংসায় বিশেষণ খুঁজে পাওয়া ভার। যতই তাঁকে নিয়ে বলি না কেন, খুব কম বলা হয়। তাঁকে কথায় বাঁধা যায় না। তিনি শব্দ দিয়ে প্রকাশের ঊর্ধ্বে। আমার মনে পড়ে, আমি তাঁকে একসময় বলেছিলাম, যখন আপনি অটোগ্রাফ দেবেন, এই লাইন ব্যবহার করতে পারেন—‘মেরি আওয়াজ হি পেহচান হাই, অউর ইয়ে হাই পেহচান’ (লতার গাওয়া গুলজারের লেখা একটি গানের লাইন)।

আমি ভাবতে পারিনি যে এটাই তাঁর পরিচয় হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু এটাই তাঁর পরিচয় হয়ে দাঁড়াল। তিনি তাঁর কণ্ঠ দিয়েই পরিচিত।
আমার মনে পড়ে, ‘যখন বিশাল ভরদ্বাজ প্রথম তাঁর সঙ্গে গান করেন, বিশাল খুবই নার্ভাস ছিলেন। তিনি আমাকে বললেন, তিনি খুবই নার্ভাস। লতাজি তখন হাসলেন এবং বিশালকে বললেন, “আমাকে মনে করো নতুন একজন শিল্পী এবং আমাকে শেখাও।” কেবল বিনয়ী ও মহান মানুষই তাঁর মতো করে বলতে পারেন। ব্যাপারটি তাঁর ব্যক্তিত্বের পরিচয় দিয়েছিল।’

লতা মঙ্গেশকর
ছবি: সংগৃহীত

একবার তিনি আমাকে বলেছিলেন, আজকালকার গানগুলো খুব ভালো হচ্ছে না। তিনি আমাকে বললেন, ভালো ছবি বানাতে, যেখানে ভালো সংগীত ও গান করার সুযোগ থাকবে। তিনি আমার ছবি লেকিন প্রযোজনা করেন। আমি খুবই খুশি যে তিনি এই ছবি দিয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন।

তিনি আমাদের সংস্কৃতির অংশ। তিনি আমাদের রোজকার জীবনযাপনের অংশ। টিভি পরে এসেছে, তার আগে সকালের ঘুম ভাঙত রেডিওতে তাঁর গান শুনে।
তাঁর গান বাজত সব উৎসবে। লোহরি, হোলি, ঈদ, বিয়ের আয়োজনে তাঁর গান থাকত। তিনি তাঁর পুরো জীবনে আমাদের সংস্কৃতির কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিলেন এবং সে ধারা বহমান থাকবে।
গুলজার, কবি ও পরিচালক

গুলজারের কথায় অনেকগুলো গানে কণ্ঠ দিয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। দুজনের সম্পর্কও ছিল দারুণ। পিটিআই এর কাছে লতা মঙ্গেশকরকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেন এই গীতিকবি ও পরিচালক।