নজরুল উৎসব ১১ মার্চ থেকে
স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী নজরুল উৎসবের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১১-১২ মার্চ গুলশান সোসাইটি লেক পার্কে বাংলাদেশ নজরুলসংগীত সংস্থা ও অরুণরঞ্জনীর যৌথ উদ্যোগে এবং গুলশান সোসাইটির সহযোগিতায় এ উৎসব উদ্যাপন করা হবে। উৎসবে দুই বাংলার শিল্পীদের নিয়ে ১২৫টি স্বল্প প্রচলিত নজরুলসংগীতের মোড়ক উন্মোচন এবং নজরুলসংগীত কোষের (অনলাইন) উদ্বোধন করা হবে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উৎসবের আহ্বায়ক খায়রুল আনাম শাকিল জানান, উৎসবে বাংলাদেশ ও ভারতের খ্যাতিমান এবং উদীয়মান শতাধিক শিল্পী সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করবেন। অনুষ্ঠানে ভারতীয় শিল্পীদের মধ্যে থাকবেন শ্রীকান্ত আচার্য, শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়, মনোময় ভট্টাচার্য, জয়তী চট্টোপাধ্যায় ও সুস্মিতা গোস্বামী। বাংলাদেশের শিল্পীদের মধ্যে থাকবেন শাহীন সামাদ, ইয়াকুব আলী খান, খায়রুল আনাম শাকিল, ফেরদৌস আরা, সালাহউদ্দিন আহমেদ, নাশিদ কামাল, ইয়াসমীন মুশতারী, প্রিয়াঙ্কা গোপ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করবেন আসাদুজ্জামান নূর ও ডালিয়া আহমেদ। নৃত্য পরিচালনায় থাকবেন শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে এ অনুষ্ঠান, যা নিমন্ত্রণপত্র সংগ্রহ সাপেক্ষে সবার জন্য উন্মুক্ত। খায়রুল আনাম শাকিল বলেন, সম্মিলিতভাবে কাজ করে সারা দেশে নজরুলের জীবনদর্শন ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এই চেষ্টার মাধ্যমে একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।
এ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। দুই দিনের এ আয়োজনে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর, সারওয়ার আলী, গুলশান সোসাইটির প্রেসিডেন্ট এ টি এম শামসুল হুদা, প্রাবন্ধিক মফিদুল হক, কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, বাংলাদেশ নজরুলসংগীত সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইয়াকুব আলী খান, কবির নাতনি খিলখিল কাজী প্রমুখ।
খায়রুল আনাম শাকিল বলেন, এর আগে নজরুলের গানকে সঙ্গী করে বাংলাদেশ এবং ভারতের শিল্পীদের নিয়ে এমন বৃহৎ পরিসরে অনুষ্ঠান হয়নি । এখন থেকে প্রতিবছরই এমন আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ উৎসবের মাধ্যমে আমরা একই সঙ্গে নজরুলের গান এবং জীবনদর্শনকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। জাতীয় কবিকে আমরা জাতীয়ভাবেই মূল্যায়ন করতে চাই। পাশাপাশি এ আয়োজনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের নজরুল সংগীত শিল্পীদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে।
ইয়াকুব আলী খান বলেন, মহামারির কঠিন সময়েও থেমে থাকেনি নজরুল সঙ্গীত সংস্থা। সংগীত চর্চার পাশাপাশি মানবতার সেবায় নিবেদিত বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় নজরুল সংগীত চর্চাকে বেগবান করতে কাজ করে যাচ্ছে সংস্থা।
সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকদের পক্ষে ছিলেন বাংলাদেশ নজরুলসংগীত সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইয়াকুব আলী খান, নজরুল উৎসব-২০২২ উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক খায়রুল আনাম শাকিল, সমন্বয়ক সৈয়দ আহসান হাবীব, অরুণরঞ্জনীর প্রধান সমন্বয়ক কল্পনা আনাম, এইচএসবিসি ব্যাংকের হেড অব কাস্টমার ভ্যালু ম্যানেজমেন্ট গীতাঙ্ক দেবদীপ দত্ত প্রমুখ।