পপগানেও তার স্টাইলটা ছিল আলাদা: আলম খান
অসাধারণ একজন গণসংগীতশিল্পী হারালাম আমরা। একদম আলাদা ধরনের সংগীতের চর্চা করত। ওর আর দ্বিতীয় কেউ নেই। ফকির আলমগীর একজনই ছিল, সে নিজেই শুধু তার তুলনা। ফকির আলমগীরের এই চলে যাওয়া একটা বিশাল শূন্যতা রেখে গেল। গণসংগীতে তার বিকল্প তৈরি হয়নি। ফকিরের জায়গায় আমি আর কাউকে দেখি না।
গানে নিজস্ব একটা ধারা তৈরি করেছিল ফকির আলমগীর। গানে গানে অন্যায়–অনিয়মের কথা বলতে কখনো পিছপা হতো না। যেকোনো ইস্যুতে তাকে পাওয়া যেত, একদম সামনের সারিতে।
সব সময় দেখেছি, পয়লা মে–তে শ্রমিকদের জন্য বড় আয়োজনে অনুষ্ঠান করতে। গানের মাধ্যমে শ্রমিকদের মাঝে মে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরত। আর বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে জাগানোর জন্য গণসংগীত করত।
তার অবদান বলে শেষ করা যাবে না। শুধু গণসংগীত নয়, পপসংগীতেও তার বিচরণ ছিল দারুণ। অন্য ধরনের পপগান গাইত ফকির আলমগীর। পপগানেও তার স্টাইলটা ছিল পুরোপুরি আলাদা। ফকির আলমগীর যে ধরনের গান করত, সে ধরনের গান এবং তার কণ্ঠের ধরন সচরাচর পাওয়া যায় না।
ফকির আলমগীরের সঙ্গে প্রায় সময় কথা হতো। ফকির আলমগীর নিজে থেকে সবার খোঁজখবর নিত। আজমের (আজম খান) মৃত্যুবার্ষিকী ছিল গত মাসের ৫ তারিখ। এ উপলক্ষে আগের দিন ফকির আলমগীরের সঙ্গে কথা হয়। আজম সম্পর্কে অনেক বিষয় জানার আগ্রহ থেকে ফোন করেছি। ওর মধ্যে সবাইকে নিয়ে জানার একটা প্রবল আগ্রহ ছিল। সবাইকে নিয়ে লেখার চেষ্টাও করত।