বাঙালি চেতনা ও বাংলাদেশ যত দিন থাকবে, তত দিন অজিত রায়ের সৃষ্টি বেঁচে থাকবে
গানে গানে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী অজিত রায়কে স্মরণ করেছে অভ্যুদয় সংগীত অঙ্গন। গত বৃহস্পতিবার রাতে নগরের শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘আমার চিত্রে তোমার সৃষ্টিখানি রচিয়া তুলেছে বিচিত্র তব বাণী’ শীর্ষক সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে অজিত রায়ের সুরারোপিত বিভিন্ন গান পরিবেশন করেন অভ্যুদয়ের শিল্পীরা।
আয়োজনে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী অজিত রায় স্মরণে এক সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী শ্রেয়সী রায়ের একক সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পর্দা ওঠে।
এরপর কথামালায় অংশ নিয়ে খেলাঘর চট্টগ্রামের সভাপতি অধ্যাপক এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আজকের প্রজন্ম অজিত রায়দের অবদান জানে না। তারা শিল্প–সংস্কৃতি সম্পর্কে বিস্মৃত। অজিত রায়দের মতো গুণী মানুষের কারণে আজ এই দেশ পেয়েছি। তাঁর সৃষ্টি ও অবদানকে কীভাবে জাতি অস্বীকার করবে। কিন্তু আমরা তাঁদের এই অবদান প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে পারিনি।’
কবি ও সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, ষাটের দশক আমাদের শিল্পসাহিত্য ও রাজনীতির উজ্জ্বল একটা সময়। সব ক্ষেত্রে জাতির কিছু শ্রেষ্ঠ সন্তান নেতৃত্ব দিয়েছেন সে সময়। সেটা শিল্পসাহিত্য, সংস্কৃতি কিংবা রাজনীতিতে। তখন রবীন্দ্রনাথ নিষিদ্ধ ছিলেন। নজরুলকেও সংশোধিতভাবে গ্রহণের নানা বিধিনিষেধ ছিল। ওই সময়ে অজিত রায়ের মতো গুণী মানুষেরা রবীন্দ্রনাথকে কণ্ঠে ধারণ করেছিলেন। জাগরণের গানের মধ্য দিয়ে জাতিকে একটি মুক্ত স্বদেশের জন্য উদ্বুদ্ধ করে তুলেছিলেন।
বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, বাঙালি চেতনা ও বাংলাদেশ যত দিন থাকবে, তত দিন অজিত রায়ের সৃষ্টি বেঁচে থাকবে। তাঁদের অবদান বাঙালি মনে রাখবে।
অনির্বাণ ভট্টাচার্যের উপস্থাপনায় এরপর অভ্যুদয়ের শিল্পীরা একে একে পরিবেশন করেন ‘হে মোর দেবতা’, ‘সতত হে নদ’, ‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি’, ‘হে মহামানব’, ‘ভয় হতে তব অভয় মাঝে’, ‘আবার আসিব ফিরে’, ‘স্বাধীনতা তুমি’সহ অজিত রায় সুরারোপিত বিভিন্ন গান।