রাধারমণের গান শোনান বিশ্বজিৎ রায়
রাধারমণের গান শোনান বিশ্বজিৎ রায়

এক মঞ্চে মিলল রাধারমণ ও লালনকে। শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে শুক্রবার সন্ধ্যায় বসেছিল এই গানের আসর। এ দুজনের বিভিন্ন পর্যায়ের বিশটি গান নিয়ে গবেষণাধর্মী পরিবেশনায় অংশ নিলেন রাধারমণ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্রর শিল্পী শাহনাজ বেলী ও বিশ্বজিৎ রায়। দর্শনীর বিনিময়ে নিয়মিত অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে গানের আসরটির আয়োজন করে সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ।

শুক্রবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি কলা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে গানের শুরুতে ছিল সংক্ষিপ্ত কথন। এতে অংশ নেন সংগীতশিল্পী শিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশী ও মাহমুদ সেলিম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিএসসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক।

লালনের গান শোনান শাহনাজ বেলী
লালনের গান শোনান শাহনাজ বেলী

কথনের পর শুরু হয় গানের পালা। পালাক্রমে চলে লালন ও রাধারমণের গান। শাহনাজ বেলী গেয়ে শোনান লালনের ‘কবে হবে সজল বরষা বসে আছি সেই ভরসায়’, ‘পাখি কখন জানি উড়ে যায়’, ‘আমি একদিন না দেখিলাম না তারে’, ‘কেন জিজ্ঞাসিলে খোদার কথা’, ‘জাত গেল জাত গেল’, ‘তোরা কেউ যাসনে ও পাগলের কাছে’, ‘কালার কথা কেন বল আমায়’, ‘মায়েরে ভজিলে হয় সে বাপের ঠিকানা’, ‘গেড়ে গাঙ্গেরে ক্ষ্যাপা’ ও ‘করিমনা কাম ছাড়েনা মদনে’। বিশ্বজিৎ রায়ের কণ্ঠে শোনা যায় রাধারমণের ‘পতিতপবনে নাম শুনিয়া’, ‘আমার সাধনের ধন গেল অকারণ’, ‘আমার শ্যাম জানি কই রইলো গো’, ‘গৌর নামের চলছে গাড়ি’, ‘পাষাণ মনরে বুঝাইও’, ‘সুরধনির কিনারায় সোনার নূপুর দিয়া পায়’, ‘ললিতে সুখ হইল না কালার বিপরীতে’, ‘তোমার আমার যত কথা সবই বৃথা হল’, ‘কাঙাল জানিয়া পার কর’ ও ‘আমি ডাকি কাঙালিনী’। দুই সাধকের গানে দারুণ জমেছিল আসরটি।