সুন্দরীদের নায়ক, নাকি সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিচারক
সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বিচারক, নাকি সুন্দরীদের নায়ক—কোনটাতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন? প্রথম আলো অনলাইনের আয়োজনে হাতিল নিবেদিত ‘বড় মঞ্চের তারকা’ অনুষ্ঠানে উপস্থাপিকা দিলারা হানিফ পূর্ণিমা এ প্রশ্ন করেন গায়ক, নায়ক, উপস্থাপক, শিক্ষক তাহসান খানকে। জবাবে তাহসান বলেন, ‘সুন্দরীদের নায়ক হওয়ার চেয়ে সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিচারক হওয়া তুলনামূলক সহজ। কারণ, সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিচারক হলে এক জায়গায় বসে থাকতে হয়। সংলাপ বলতে হচ্ছে না। শুধু দেখতে হয়, বিচার করতে হয়। আমি বলব, ক্যামেরার সামনে অভিনয় করা অনেক কঠিন। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বললে অভিনয়টা তুলনামূলক কঠিন।’
অনুষ্ঠানে তাহসানের কাছে পূর্ণিমার পরের প্রশ্নটি ছিল এমন, ‘এত সুন্দর থাকার রহস্য কী?’ তাহসানের উত্তর, ‘সৃষ্টিকর্তা যেভাবে সৃষ্টি করেছে, আমি সেভাবেই আছি। সে জন্য সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ। আর ফিট যতটা থাকা উচিত, ততটা থাকতে পারি না। আমি জিম করি কিন্তু যখন টানা কাজ থাকে, তখন জিম করার সুযোগ পাই না।’
অনেকেই আছেন কাজের ক্ষেত্রে কাউকে অনুসরণ বা অনুকরণ করেন। এ প্রসঙ্গে তাহসানকে পূর্ণিমার প্রশ্ন, আপনি কাকে অনুসরণ বা অনুকরণ করেন? জবাবে তাহসান বলেন, ‘আমি অনুপ্রাণিত হই। অনেককে দেখেই অনুপ্রাণিত হই। আমি যখন গান থেকে অভিনয় করতে শুরু করি, তখন অনেকেই বলেছেন, “আপনাকে অভিনয় কেন করতে হবে?” তখন আমি তাঁদের বলেছি বা দেখিয়েছি, সারা পৃথিবীতে তো গায়ক থেকে অনেকে অভিনয় করেছেন। তাঁরা বিভিন্ন ক্ষেত্রেই সফল। আমি উল্টো প্রশ্ন করা শুরু করলাম তাঁদের। অনেকেই গায়ক থেকে নায়ক হয়েছেন। তাহলে আমি করলে সমস্যা কোথায়? আমারও তো ইচ্ছা আছে চর্চা করার।’
অনুষ্ঠানে পূর্নিমার অনুরোধে তাহসানের জনপ্রিয় গান ‘দূরে তুমি দাঁড়িয়ে’ শোনান। সে গানের মুগ্ধতা থাকতে থাকতেই আবার প্রশ্ন। নিজের কম্পোজিশনের গান করতে ভালো লাগে, নাকি অন্যের কম্পোজিশনে গান গাইতে বেশি ভালো লাগে?
তাহসান পূর্ণিমার প্রশ্নে খুব উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেন, ‘আগে নিজেই লিখতাম, বাজাতাম এবং নিজেই গাইতাম। এটার একটা সুবিধা হলো এতে আমার একটা সিগন্যাচার তৈরি হয়েছিল। মিউজিশিয়ানের কিন্তু সিগন্যাচার তৈরি করতে হয়। গান শুরু হলেই শ্রোতা বুঝতে পারে, এটা ওই শিল্পীর গান। আমাদের ওই সময়ে অল্প কয়েকজন সিগন্যাচার গান তৈরি করতে পেরেছিলাম। যেমন আমি পেরেছিলাম, হাবিব, অর্ণব পেরেছিল।
আমাদের গানগুলো একটা সিগন্যাচার ছিল। সিগন্যাচার হওয়া যেমন জরুরি, তেমনি এটাও চিন্তা করতে হবে একজন শিল্পী কতটা সিগন্যাচার গান নিতে পারে। শিল্পীর ক্ষেত্রে ভেরিয়েশনের প্রয়োজন আছে।
আমি যখন পাঁচটা অ্যালবাম করে ফেললাম, তখন আমার মনে হলো আমার একটু বিরতি নেওয়া দরকার। আমার নিজের ঘরানার বাইরে গিয়ে গান করা দরকার। কারণ, শ্রোতারা আমার ঘরানার গান শুনতে শুনতে তো বোর হয়ে যেতে পারে। তারপর নতুন কম্পোজারের সঙ্গে কাজ করা শুরু করলাম। যাঁদের আমার ভালো লাগে, তাঁদের সঙ্গে। অন্যের লেখা গান গাইতে শুরু করলাম। নিজের লেখা ও সুরে গান গাইতে আনন্দ দিত। অন্যের সঙ্গে গানও আমাকে অন্য রকম একটা অনুভূতি দেয়। আমি আসলে দুটোই এনজয় করি।’