আজ রংমিস্ত্রি হয়ে আসছেন সজল
গায়ে স্যান্ডো গেঞ্জি, সারা শরীরে রঙের ছিটেফোঁটা, বাঁশ বেয়ে দেয়ালে রং করছেন—হঠাৎ দেখে মনে হবে সত্যিকারের একজন রংমিস্ত্রি বুঝি কাজ করছেন। আসলে তা নয়, একটি টেলিছবির জন্য এমন একটি রূপে হাজির হয়েছেন আবদুন নূর সজল। টেলিভিশন নাটকের এই অভিনয়শিল্পীকে কয়েক বছর ধরে বিচিত্র সব চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় সজলকে নিয়ে এই চ্যালেঞ্জটি নিয়েছেন তরুণ নির্মাতা ইশতিয়াক আহমেদ।
এরই মধ্যে ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে টেলিছবি ‘রংমিস্ত্রীর ট্রেলার। ট্রেলারে রংমিস্ত্রি সজলকে দেখে সবাই প্রশংসা করেছেন। ইশতিয়াক আহমেদের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় তৈরি টেলিছবিটি আজ বুধবার বেলা তিনটায় চ্যানেল আইতে দেখানো হবে।
‘রংমিস্ত্রী’ টেলিছবির গল্পে দেখা যাবে, চারতলা একটি বাড়িতে রঙের কাজ করেন জসিম (সজল)। কাজ করতে করতে একদিন জানালা দিয়ে একটি মেয়েকে (সারিকা) দেখতে পান। প্রথম দেখাতেই ভালো লাগে। ভুলে যান তাঁদের অবস্থানগত পার্থক্য। দ্বিতীয় দিনেও কাজের ফাঁকে মেয়েটিকে দেখার চেষ্টা করেন জসিম। একটা সময় মেয়েটিও এগিয়ে আসেন। নাম জানতে চান। জানালা দিয়ে খাবারও বিনিময় হয়। এভাবে কথাবার্তা বাড়ে, তৈরি হয় সখ্য। কিন্তু মেয়েটার পরিবারের লোকজন এটা মানতে পারেন না। শুরু হয় জটিলতা। এভাবেই এগিয়ে যায় টেলিছবিটির গল্প।
সজল বললেন, ‘অভিনয়শিল্পী হিসেবে আমার চাওয়া বরাবরই ভিন্নধর্মী গল্প। কয়েক বছর ধরে পরিচালকেরাও তেমন সব গল্পের প্রস্তাব দিচ্ছেন। আমিও সানন্দে এসব গল্পে কাজ করছি। অভিনয়শিল্পী হিসেবে তৃপ্তও হচ্ছি।’
মাঝে কয়েক বছর অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন সারিকা। এখন আবার তাঁকে নিয়মিত পাওয়া যাচ্ছে। সারিকা বললেন, ‘সুন্দর একটি গল্পে কাজ করেছি, যেমনটা এখন করতে চাই। সজল ও আমার এমনিতে চমৎকার একটা বন্ডিং আছে। দুজনকে অন্যভাবে এই টেলিছবিতে পাবেন দর্শক। আগেভাগে পুরো ব্যাপারটা বলে দিতে চাইছি না। সবাইকে দেখে জেনে নেওয়ার অনুরোধ করছি।’
‘রংমিস্ত্রী’ টেলিছবিতে সজল ও সারিকা ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন কচি খন্দকার, প্রিয়ন্তী গোমেজ, রাজু আহসান, শেখ স্বপ্না, রিয়া বর্মণ, সৈকত ইসলাম প্রমুখ। মূলত লেখক হিসেবে পরিচিত ইশতিয়াক আহমেদ। গল্প, উপন্যাস, গান লেখার পাশাপাশি নাটক-টেলিছবি পরিচালনা করছেন।
‘রংমিস্ত্রী’র আগে ‘বিয়েবিষয়ক জটিলতা’, ‘পরাজয় পর্ব’, ‘ডাকাত’, ‘সাক্ষী মানব’ এবং সবশেষ ‘কিশোর গ্যাং’ওয়েব ফিল্ম পরিচালনা করেন ইশতিয়াক। পরিচালনায় আসার কারণ জানিয়ে ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘পরিচালনায় এসেছি নিজের গল্পকে বাঁচাতে, নিজের গল্পগুলোকেই নিজের মতো করে বলার চেষ্টা থেকে। আগে চিত্রনাট্য লিখতাম। কিন্তু এ দেশে চিত্রনাট্যকারদের মূল্যায়ন কম এবং বেশির ভাগ পরিচালকেরা অবহেলা করেন। পরিচালনার মাধ্যমে যতটুকু পারি নিজের গল্প নিজে বলি।’
পরিচালনার অভিজ্ঞতা জানিয়ে ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, গোছানো টিম থাকলে কাজটি সহজ হয়ে যায়। তবে সবকিছু সমন্বয় করে কাজটা দর্শকদের সামনে তুলে আনা কিছুটা কঠিনই। যে কাজটি করি, মন দিয়ে করার চেষ্টা করি। এখানেও তাই করছি।’