কক্সবাজারে রোদের সঙ্গে খেলছেন মেহ্‌জাবীন

মেহজাবীন চৌধুরী
ইনস্টাগ্রাম

দিন যদি হতো ৩০ ঘণ্টা বা সপ্তাহ ১০ দিনে, তাহলেই হয়তো একটু অবকাশ পেতেন মেহজাবীন চৌধুরী। তাতে কাজের পাশাপাশি একটু বিশ্রাম নিতে পারতেন তিনি। ইউটিউবে ঢুকলেই এখন তাঁকে দেখা যায়। কারণ, দিনরাত এক করে কাজ করে যাচ্ছেন এই টিভি তারকা।

সম্প্রতি একটু হাওয়া বদলের জন্য কক্সবাজারে গেছেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। সেখানে দারুণ সময় কাটাচ্ছেন তিনি। সেখানকার সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত আর বৃষ্টি ভীষণ উপভোগ করছেন ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় তারকা। করোনার ভেতরেও বেশ কিছু নাটক ও টেলিছবিতে অভিনয় করে ক্লান্ত এই তারকা ঢাকার ব্যস্ত কর্মজীবন, পরিচিত মানুষ ছেড়ে একটু দূরে দুদণ্ড অবসর কাটাতে গেছেন। ইনস্টাগ্রামে ছবি আপলোড করে লিখেছেন, ‘চেনাজানা জায়গা ছেড়ে দূরের দীর্ঘ পথ, গান শোনা, বই পড়ার মুহূর্তগুলো দারুণ, যখন সবাইকে ভুলে, সবকিছু ভুলে একটু শান্তিতে থাকা যায়।’

কক্সবাজারে মেহজাবীন চৌধুরী
ইনস্টাগ্রাম

করোনাকালীন ঘরবন্দী জীবনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন মেহজাবীন। তাই তো একটু ফুরফুরে হতে সমুদ্রের তীরে ঘুরে আসা চাই। কারণ, শেষবার বেড়াতে গিয়েছিলেন সেই ফেব্রুয়ারিতে। কক্সবাজারে এ কয়েক দিন রোদের সঙ্গে খেলা করছেন মেহজাবীন, ফুল সঙ্গে নিয়ে চালাচ্ছেন গোলাপি সাইকেল।

একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের ছাত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। ‘তুমি থাকো সিন্ধুপাড়ে’ নাটকটি দিয়ে শুরু করেছিলেন অভিনয়জীবন। নিজের অভিনয় করা পছন্দের নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘বড় ছেলে’, ‘সোনালী ডানার চিল’, ‘বুকের বাঁ পাশে’, ‘ফেরার পথ নেই’, ‘হাতটা দাও না বাড়িয়ে’।

মেহজাবীন চৌধুরী
ইনস্টাগ্রাম

এই মেহজাবীনের খ্যাতির আকাঙ্ক্ষা ছিল প্রবল। প্রথম আলোর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি যা কিছুই করি না কেন, বিখ্যাত হতে চেয়েছি। আমার দাদা ও নানাবাড়ি চট্টগ্রামে। বিদেশ থেকে ফিরে চট্টগ্রামে স্থায়ী হলাম। কাজিনরা সব বড় বড়। সমবয়সী কেউ নেই। কোনো বন্ধু নেই। ২০০৯ সালে একদিন পত্রিকায় লাক্স–চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার বিজ্ঞাপন দেখে রেজিস্ট্রেশন করলাম। তারপর অডিশন এবং সেরা ২৫ জনের একজন হয়ে ঢাকায় চলে এলাম। টানা তিন মাস গ্রুমিং হলো: নাচ, অভিনয়, র‌্যাম্পে হাঁটা, কথা বলাসহ নানা কিছু শিখলাম।’

বিদেশি বিমান সংস্থার কর্মকর্তা বাবার চাকরিসূত্রে মেহজাবীনের ছেলেবেলা কেটেছে ওমান ও দুবাইতে। ফলে পরিবারের মধ্যে বাংলায় কথা বলা ছাড়া স্বদেশের সংস্কৃতির সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগই ছিল না। ২০০৮ সালে ও–লেভেলে পড়ার সময় দেশে ফিরে দেখেন, দেশটাকে চেনেন না তিনি। তখন কে জানত, এই অজানা দেশেই একদিন অনেক মানুষ চিনবে তাঁকে।