একসময় সত্যি সত্যি চড় মারা শুরু করেন

ঈদের রাতে গায়ক প্রীতম হাসানের চলচ্চিত্র অভিনয়ে অভিষেক হয়। সেদিন রাতে অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকিতে ওয়েব ফিল্ম ইউটিউমার মুক্তি পেয়েছে। এই সিনেমায় শুটিং প্রস্তুতি, মজার অভিজ্ঞতাসহ অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা বললেন তিনি।

প্রীতম হাসান
ইনস্টাগ্রাম

প্রশ্ন :

আপনাকে নিয়ে এর আগেও সিনেমার পরিকল্পনা করেছিলেন ঢালিউডের একজন প্রযোজক। শেষ পর্যন্ত চরকির প্রযোজনা ইউটিউমার দিয়ে অভিষেক হলো।

(হাসি) জাজ মাল্টিমিডিয়া থেকে আমার নাম ঘোষণা করা হয়। আমি সেটার কিছুই জানতাম না। এবার আদনান (আদনান আল রাজীব) ভাইয়ের হাত ধরে অভিষেক হলো। কাজের প্রতি তাঁর ডেডিকেশন, শুটিং ইউনিট, নির্মাণ সম্পর্কে আগে থেকেই জানতাম। তাই ইউটিউমারে অভিনয়ের প্রস্তাব শুনে সঙ্গে সঙ্গে লুফে নিই। হয়তো আমি এমন একটি প্রোডাকশনের অপেক্ষায় ছিলাম। গল্পটাও অন্য রকম ছিল।

প্রশ্ন :

আপনি গানের মানুষ। এই সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের সময় কতটা চ্যালেঞ্জ মনে হয়েছে?

চরিত্র হয়ে উঠতে দুই মাস সময় পেয়েছি। নির্মাতা আগেই বলেছিলেন, ওজন বাড়াতে এবং চুল ছোট করতে হবে। কথা বলার ধরনে ও বডি ল্যাঙ্গুয়েজে পরিবর্তন আনতে হবে। সবই আমার জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ, আমি সব সময় চুল কিছুটা বড় রাখি। নিয়মিত ডায়েট করি। চরিত্রটি হয়ে ওঠাতে পরিচালকই সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছেন।

পলাশ, আদনান আল রাজীব ও প্রীতম
প্রথম আলো

প্রশ্ন :

কত কেজি ওজন বাড়াতে হয়েছিল?

দুই মাস শুধু খেয়েছি। নির্মাতাকে খুশি রাখতে গিয়ে দেখি, ছয় কেজি ওজন বেড়ে গেছে। এরপর আদনান ভাই তো আমাকে দেখে খুশি। এখান থেকেই আমার হ্যাপিনেসটা শুরু।

খালেদ সরকার

প্রশ্ন :

ঈদের দিন ইউটিউমার মুক্তি পেল। পরিচিত এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনেকে নিশ্চয় নানা রকম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

আমি যে কাজই করি, চেষ্টা থাকে নিজেকে ভিন্নভাবে উপস্থাপনের। ইউটিউমার মুক্তির পর সবার একটাই কথা, তোকে প্রথমে চিনতে পারিনি। তার আগে অনেকেই বলতেন, স্বাস্থ্য কিছুটা বেড়েছে।

প্রশ্ন :

আপনার সিনেমা দেখে মা এবং ভাই কী বলেছেন?

ইউটিউমার দেখে আম্মা খুবই খুশি। তিনি বলেছেন, এইটা তুই? তোকে তো চেনাই যায় না। ভাইয়াও বলেছেন একই কথা।

প্রশ্ন :

কমেডি ধারার এই কাজ করতে গিয়ে কী ধরনের মজার ঘটনা ঘটেছে?

পুরো শুটিং জুড়ে মজা আর মজা। পরিচালক খুবই মজার মানুষ। ক্যামেরার পেছনে তিনি সবার আগে হাসেন। তখন ক্যামেরার সামনে আমরা হাসি আটকাতে পারি না। সিনেমার একটি চরিত্র ছিল পাপ্পু ভাই। তিনি আমাকে থাপ্পড় দেবেন। তাঁর অভিনয় এবং পরিবেশটা এতটাই মজার ছিল, দৃশ্যটি করতে গিয়ে ১৫ বার শট এনজি হয়। এতই হাসছিলাম যে একসময় সত্যি সত্যি চড় মারা শুরু করেন। তারপরেও শট এনজি হয়। তাই সাতবার চড় খাইতে হইছে।

প্রীতম হাসান। ছবি: প্রথম আলো

প্রশ্ন :

অভিনয়ে আরও দেখা যাবে কি?

ভালো গল্প আর চরিত্র পেলে অবশ্যই অভিনয় করব।

প্রশ্ন :

বাস্তবে কি ইউটিউবার হওয়ার ইচ্ছে আছে?

বাস্তবে ইউটিউবার হওয়ার ইচ্ছে আছে। তবে ভিউ, লাইক, শেয়ারের জন্য নয়। কী দিয়ে চ্যানেলের যাত্রা শুরু করব জানি না। তবে ভিন্ন কিছু করার ইচ্ছে আছে।

স্টুডিওতে প্রীতম হাসান
প্রথম আলো

প্রশ্ন :

গানের খবর বলুন।

ইউটিউমারের কাজ নিয়ে অনেক দিন ব্যস্ত ছিলাম। অলরেডি গানের কাজ চলছে। শিগগিরই গানটি মুক্তি দেব।