‘ঠোঁটের গড়ন মোটামুটি চার ধরনের। পুরু ঠোঁট, পাতলা ঠোঁট, চওড়া ঠোঁট আর ছোট ঠোঁট। এই মৌসুমে ঠোঁটে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। কখনো ঠোঁট ফাটে, কখনো বা কালচে ভাব চলে আসে।’ আয়ুর্বেদিক রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা জানান ঠোঁটের খুঁটিনাটি সমস্যা ও তা সমাধানের কথা।
ঠোঁট ফাটাটা অস্বস্তিকর ও কষ্টদায়ক। শীতে শুকনা আবহাওয়ার কারণেই ঠোঁট বেশি ফাটে। ঠান্ডার কারণে নাক বন্ধ থাকে। এ কারণে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। ঠোঁট ফাটলে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস কম নিতে হবে। তাহলে ঠোঁট ফাটা কমে যাবে।
ঘি বা খাঁটি সরষের তেল হালকা গরম করে নাভিতে লাগালে ভেতর থেকে ঠোঁট ফাটার প্রবণতা কমে যায়। এই কাজটি করতে হবে রাতে ঘুমানোর সময়। টানা কয়েক দিন লাগালে শীতের সময় ঠোঁট ফাটা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
ঠোঁট ফাটলে অনেক সময় ত্বকের মরা অংশ জমে ঠোঁটের ওপর। এটা আটকাতে রাতে ঘুমানোর সময় বাদাম তেল লাগাতে হবে ঠোঁটে। মরা অংশ কখনোই টেনে তোলা যাবে না।
ঠোঁট কালচে হয়ে গেলে সেটাও হালকা করার উপায় আছে। এক টেবিল চামচ গোলাপের পাপড়ির পেস্ট আর এক টেবিল চামচ গ্লিসারিন এই সমস্যার সমাধান এনে দেবে। নিয়মিতভাবে ঠোঁটে মাখলে কালচে ভাব দূর হয়ে হালকা গোলাপি আভা চলে আসবে। মিশ্রণটি বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। মাখনের সঙ্গে জাফরান মিশিয়েও ঠোঁটে লাগাতে পারেন। এতে করে লালচে আভা চলে আসবে ঠোঁটে। ঠোঁটকে মসৃণ রাখতেও সাহায্য করবে।
খুব বেশিক্ষণ ঠোঁটে লিপস্টিক লাগিয়ে রাখা উচিত না। সব সময় ভালো ব্র্যান্ডের লিপস্টিক ব্যবহার করবেন।
পুরু ঠোঁট সাজানোর সময় লিপ পেনসিল দিয়ে ভেতর দিকে আঁকতে হবে। এতে করে ঠোঁটটা আকারে একটু ছোট দেখাবে। পাতলা ঠোঁট সব সময় একটু বাইরের দিক দিয়ে আঁকতে হবে। ছোট ঠোঁট দুই পাশ দিয়ে একটু টেনে আঁকতে হবে। অন্যদিকে লম্বা ঠোঁটকে আঁকার মাধ্যমে পাশ থেকে কমাতে হবে।
ঠোঁটে অনেকক্ষণ লিপস্টিক রাখতে চাইলে সেটাকে ম্যাট করে লাগান। গ্লসি লিপস্টিক দিয়ে ওপরে গোলাপি রঙের পাউডার দিলেও ম্যাট হয়ে যাবে।
গাঢ় লিপস্টিক দিলেন। ভালো লাগল না। এবার জলপাই তেল বা নারিকেল তেল দিয়ে হালকা করে ঘষে তুলে ফেলুন। অন্য রঙের লিপস্টিক লাগালেও আগেরটার রং বোঝা যাবে না।
জলপাই তেল ও লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া লেবু, লবণ, মধু ও জলপাই তেল একসঙ্গে মিশিয়েও স্ক্রাবার তৈরি করা যাবে। সপ্তাহে দুই দিন এটি ব্যবহারে ঠোঁটের মরা চামড়া উঠে যাবে।
গ্রন্থনা: রয়া মুনতাসীর