১৫ জানুয়ারি বিকেলে অ্যাপেক্সের গুলশান কার্যালয়ে প্রাতিষ্ঠানিক ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর। বললেন, ‘চট্টগ্রামের মিনহার ফুটওয়্যার কেডস রপ্তানি করত। তবে চামড়ার জুতা রপ্তানির কাজটি প্রথম করেছে অ্যাপেক্স। বর্তমানে সেই রপ্তানি আরও অনেক সুদৃঢ় হয়েছে। যদিও যাত্রাটি মোটেই সহজ ছিল না। আধুনিক কারখানা গড়লেও কীভাবে জুতা বানাতে হয়, সেটি আমরা জানতাম না। দক্ষ জনবলও ছিল না। তবে বিভিন্ন সময় জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালিসহ নানা দেশের অভিজ্ঞ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় আমরা আজকের অবস্থানে পৌঁছাতে পেরেছি।’ ব্যবসা টেকসই করতে সব জায়গায় উন্নত কর্মপরিবেশ ও নিজস্ব নকশায় জুতা রপ্তানির মতো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন বলে জানান তিনি।
বড় প্রতিষ্ঠানকে নেতৃত্ব দেওয়ার শিক্ষাটা পরিবার থেকেই পেয়েছেন বলে জানান সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর। বললেন, ‘ছেলে হিসেবে প্রথমেই মায়ের কথা বলতে চাই। আমার মা ছিলেন প্রচণ্ড দেশপ্রেমিক। তিনি কোনোভাবেই প্রত্যাশা করতেন না, বাংলাদেশ ছেড়ে আমরা অন্য কোথাও থাকব। বারবার বলতেন, অন্য দেশে তোমার কোনো ভূমিকা থাকবে না। এ দেশেই সবকিছু। বাবাও প্রচণ্ড দেশপ্রেমিক। সব সময় বলেন, কিছু করতে হলে এই দেশেই করতে হবে। বাবা মন দিয়ে মানুষের কথা শোনেন। প্রচণ্ড ধৈর্য আছে তাঁর। আমার সেই ধৈর্য নেই।’
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, ‘আমরা আমাদের মূল ব্যবসাতেই থাকতে চাই। এখানেই ব্যবসা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। ২০-৩০টি কোম্পানি আমরা করতে চাই না। কোম্পানি হিসেবে আরও ভালো কীভাবে হতে পারি, সেই চেষ্টা করছি আমরা। কোম্পানির ভ্যালু বাড়ানোর দিকেই নজর আমাদের। সহজ করে বললে, কারখানা দ্বিগুণ না করে আমরা আরও বড় বড় ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করতে চাই।’