চলতি রম্য
যেসব প্রাকৃতিক প্রশিক্ষণে অংশ নিলে ক্যাচ আর মিস হবে না
বলা হয়, ‘ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস!’ ক্রিকেটাররা মাঝেমধ্যেই কথাটির সার্থক উদাহরণ দাঁড় করান। সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠে পুরো জাতি। তাই ক্যাচ ধরায় এক শ ভাগ সাফল্য পেতে শুধু মাঠের প্র্যাকটিসে আটকে না থেকে ক্রিকেটাররা নিতে পারেন প্রাকৃতিক প্রশিক্ষণ...
প্রশিক্ষণ ১: চাঁদের বুড়ি খেলা
এটা সবচেয়ে সহজ প্রশিক্ষণ। পরিবারের ছোট শিশুদের (ভাগনে, ভাগনি, ভাতিজা, ভাগনি হলে ভালো হয়) নিয়ে চাঁদের বুড়ি খেলার আয়োজন করতে হবে। ‘ওরে আমার সোনা রে/ চাঁদের বুড়ির কাছে যাবে রে!’ বলে শূন্যে ছুড়ে পুনরায় শিশুটিকে হাত দিয়ে ধরতে হবে। কোনোভাবেই মাটিতে পড়তে দেওয়া যাবে না! পড়লে কিন্তু নির্ঘাৎ শিশুটির হাত-পা ভাঙবে! আরও বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কাও প্রবল। ফলে ক্যাচ আর মিস হবে না।
প্রশিক্ষণ ২: ডাব–নারকেল লুফে নেওয়া
এই প্রশিক্ষণের জন্য যেতে হবে একটা নারকেলগাছের নিচে। গ্রামের কোনো চটপটে ছেলেকে উঠিয়ে দিতে হবে সেই গাছে। ছেলেটি গাছ থেকে একটা একটা করে ডাব অথবা নারকেল ছিঁড়ে নিচে ফেলবে। ওই ডাব বা নারকেল ধরবেন ক্রিকেটাররা। তবে এই প্রশিক্ষণের সাহস সঞ্চয়ের স্বার্থে আগে জাম্বুরা ধরা প্রশিক্ষণের আয়োজন করা যেতে পারে।
প্রশিক্ষণ ৩: মালপত্র খালাস
এই প্রশিক্ষণের জন্য ফলের মৌসুম জরুরি। আর ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণের স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া যায় ঢাকার সদরঘাট অথবা কারওয়ান বাজারের মতো কোনো এলাকা। সদরঘাটে বা কারওয়ান বাজারে ফলভর্তি অনেক নৌকা ও ট্রাক ভেড়ে। শ্রমিকরা মালবোঝাই নৌকা বা ট্রাক থেকে একটা করে কাঁঠাল ছুড়ে মারেন তিরে বা নিচে দাঁড়ানো অন্য শ্রমিকের দিকে। সেটা ঠিকমতো ধরে ফেলে স্তূপ করা হয় নদীর পাড়ে বা বাজারে। ক্রিকেটাররাও ঠিক একই কাজ করলে ক্যাচ আর মিস হবে না।
প্রশিক্ষণ ৪: ইট উত্তোলন
প্রশিক্ষণের জন্য যেতে হবে কোনো নির্মাণাধীন বহুতল ভবনে। শ্রমিকেরা খুব সাবলীল ভঙ্গিতে এ তলা থেকে অন্য তলায় (ওপরের দিকে) ইট ছুড়ে মারেন। ওপর থেকে একজন তা ধরে ধরে স্তূপ করে রাখেন জায়গামতো। ক্রিকেটাররা প্রথম আধা ঘণ্টা শ্রমিকদের পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। তারপর শুরু হতে পারে মূল প্রশিক্ষণ।
এসব প্রশিক্ষণের সময় সঙ্গে মেডিকেল টিম রাখা জরুরি। কোনোভাবে হাত ফসকে ইট পায়ে পড়লে পরিস্থিতি সামলাতে হবে তো!