হাসি-আনন্দে ইমোজি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনুভূতির চালাচালি হয়ে থাকে দৈহিক অনুপস্থিতিতে। মুখে বলা কথার সঙ্গে দেখা যায় না মুখের অভিব্যক্তি। লিখিত অনুভূতির মেজাজও অনেকে ঠিকঠাক ধরতে পারেন না। ব্যঙ্গাত্মক কোনো লেখাকে কেউ কেউ সত্যি ভেবে বসেন। হৃদয়ের গভীরতম বেদনার বয়ান কারও কাছে হাস্যকর লাগে কখনো। ফলে অনেক সময়ই ভুল–বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়। এভাবে স্ট্যাটাস, কমেন্ট, চ্যাটিংয়ের সময় প্রিয় মানুষদের সঙ্গে ঝগড়া-অভিমান যেমন হয়, তেমনি অনলাইন দুনিয়ায় ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ থাকে। এসব জটিলতা এড়িয়ে অনুভূতির যথার্থ উপস্থাপনের জন্য ইমোজি দারুণ সহায়ক হিসেবে কাজ করে।

১৯৯০–এর দশকে ইমোজির ব্যবহার শুরু হয়। ইমোজি একটি জাপানিজ শব্দ, যার অর্থ ‘ছবি শব্দ’। জাপানিজ টেলিকম কোম্পানি এনটিটি ডকোমোতে চাকরি করার সময় শিগেতাকা কুরিতা নামের ভদ্রলোক এটি তৈরি করেন। এরপর ধীরে ধীরে এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে। এখন তো ইমোজি ছাড়া অনলাইন দুনিয়া ভাবাই যায় না!

আজ ১৭ জুলাই, বিশ্ব ইমোজি দিবস। ইমোজিপিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা জেরেমি বার্গ ২০১৪ সালে দিবসটির প্রচলন করেন।

ডেজ অব দ্য ইয়ার ও ন্যাশনাল ডে ক্যালেন্ডার ডটকম অবলম্বনে