জিব্রাল্টার নিয়ে যুক্তরাজ্য ও স্পেনের দ্বন্দ্বের আশঙ্কা

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বিচ্ছেদের (ব্রেক্সিট) আনুষ্ঠানিক আবেদন জানানোর পর অপ্রত্যাশিত সব ‘ঝামেলা’ এসে ভর করছে যুক্তরাজ্যের ঘাড়ে। স্পেন উপকূলে অবস্থিত ক্ষুদ্র দ্বীপ ‘জিব্রাল্টার’ দীর্ঘ ৩০০ বছর ধরে যুক্তরাজ্যের শাসনাধীন। এখন ইইউ বলছে, যুক্তরাজ্য জোট ছাড়লেও জিব্রাল্টারে তা কার্যকর হবে না। এ দ্বীপের ভবিষ্যৎ স্পেন এবং যুক্তরাজ্যকে মিলে ঠিক করতে হবে। এতে করে নতুন এক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে দেশটিকে।
স্পেন উপকূলের অদূরে অবস্থিত আড়াই বর্গমাইল আয়তনের জিব্রাল্টারের মালিকানা নিয়ে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে দেশটির বিরোধ বেশ পুরোনো। দ্বীপটি ছোট হলেও প্রায় ৩০ হাজার মানুষের বাস। সামরিক কৌশলগত কারণে এই জায়গাটি যুক্তরাজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইইউ প্রশ্নে অনুষ্ঠিত গণভোটে এখানকার ৯৬ শতাংশ ভোটারই জোটে থাকার পক্ষে মত দিয়েছিল। জিব্রাল্টারের মুখ্যমন্ত্রী ফেবিয়ান পিকার্ডো অভিযোগ করেছেন, ব্রেক্সিটের সুযোগ নিয়ে স্পেন জিব্রাল্টারে মালিকানা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছে।
যুক্তরাজ্য বলেছে, জিব্রাল্টার ব্রিটিশ ভূখণ্ড। যুক্তরাজ্য ইইউ ছাড়া মানে জিব্রাল্টারও ইইউ ছাড়া।
গত বছরের জুন মাসে অনুষ্ঠিত গণভোটে যুক্তরাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ২৮ দেশের জোট ইইউ ছাড়ার পক্ষে রায় দেয়। গত বুধবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিসবন চুক্তির আর্টিকেল-ফিফটি সক্রিয় করতে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানান। জোট ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু করার এটাই নিয়ম। এরপর শুক্রবার ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক ব্রেক্সিট আলোচনার খসড়া রূপরেখা প্রকাশ করেন।
যুক্তরাজ্য এতদিন ইইউর সদস্য থাকায় অন্য সদস্যদেশগুলোর মতো এ দেশেও বাণিজ্যনীতি, কৃষি উৎপাদন, পরিবেশ সংরক্ষণ ও শ্রমিক অধিকারসহ অনেক বিষয়ই জোটের আইনে পরিচালিত হতো।