পদ্মা সেতুর দুর্নীতি তদন্তকারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

লুই মোরেনো ওক্যাম্পো
লুই মোরেনো ওক্যাম্পো

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সাবেক প্রধান কৌঁসুলি লুই মোরেনো ওক্যাম্পো সন্দেহভাজন যুদ্ধাপরাধীকে স্পর্শকাতর তথ্য দিয়েছেন এবং পরামর্শের বিনিময়ে গোপনে অর্থ নিয়েছেন। ফাঁস হওয়া প্রচুর নথিতে এমন অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে সানডে টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্র তদন্ত পর্যবেক্ষণে বিশ্বব্যাংকের হয়ে বাংলাদেশে আসা প্রতিনিধিদলের প্রধান ছিলেন ওক্যাম্পো। তদন্ত পর্যবেক্ষণে ২০১২ সালে বাংলাদেশে এসেছিলেন ওক্যাম্পো।

ফাঁস হওয়া নথিতে দেখা গেছে, লিবিয়ার প্রভাবশালী এক ধনকুবেরের সঙ্গে ওক্যাম্পোর তিন বছরে ৩০ লাখ ডলারের বেশি অর্থের একটি চুক্তি হয়। ওই ধনকুবেরের সঙ্গে লিবিয়ার নিহত নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির সম্পর্ক ছিল। ওক্যাম্পো ২০১১ সালে আইসিসির চাকরি ছাড়ার আগে গাদ্দাফি ও তাঁর ছেলে সাইফ আল-ইসলামকে অভিযুক্ত করেছিলেন।

ফ্রান্সের অনুসন্ধানী ওয়েবসাইট মিডিয়াপার্ট ৪০ হাজারের বেশি নথি উদ্ধার করেছে। এসব নথিতে ওক্যাম্পো সম্পর্কিত এসব তথ্য উঠে এসেছে। এ সম্পর্কিত দ্য সানডে টাইমস ও ইউরোপিয়ান ইনভেস্টিগেটিভ কলাবোরেশনসের সদস্যদের হাতে এসেছে।

মোরেনো ওক্যাম্পো তাঁর ধনকুবের মক্কেল হাসান তাতানাকিকে সতর্ক করেছিলেন যে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের তদন্তকারীরা তাঁকে নজরে রেখেছেন। ওক্যাম্পো তাঁর সাবেক সহকর্মীর কাছ থেকে এ তথ্য পেয়েছেন বলে তাতানাকিকে জানান। তাতানাকির পক্ষে কাজ করার জন্য আদালতের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ প্রেস অফিসারদের ম্যানেজ করেন সাবেক এই প্রধান কৌঁসুলি।

তবে আইসিসি থেকে কোনো ধরনের গোপন তথ্য পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন মোরেনো ওক্যাম্পো। তিনি বলেছেন, লিবিয়ায় আইসিসির কাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন কোনো কাজ তিনি করেননি। তিনি বলেছেন, লিবিয়ায় গৃহযুদ্ধের অবসানে পরামর্শ দেওয়ার জন্য ওক্যাম্পো তাঁর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। 
তাতানাকি যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত নন। তিনি এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।