ত্রিপুরায় কংগ্রেসের জমি বিজেপির দখলে

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে আক্ষরিক অর্থেই কংগ্রেসের জমি বেদখলের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিত সিনহার অভিযোগ, বিজেপি সমর্থকেরা কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় বা নিজস্ব জমি দখল করছেন। সিপিএম শাসিত রাজ্যের পুলিশ সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে না বলেও তাঁর অভিযোগ।

গেরুয়া ঝড়ে ত্রিপুরায় কংগ্রেসের অবস্থা বেশ করুণ। দলের নয় বিধায়কের মধ্যে ছয়জনই এখন বিজেপিতে। আরও একজন বিজেপি শিবিরে নাম লিখিয়ে এখনো কাগজে-কলমে অবশ্য কংগ্রেসেই রয়ে গেছেন। দলের সাবেক প্রদেশ সভাপতিদের মধ্যে তিনজন এখন বিজেপিতে। আরও একজন বিজেপির দিকে পা বাড়িয়েই এখনো ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এ দাঁড়িয়ে। দুই সাবেক কংগ্রেস পরিষদীয় দলনেতাও এখন পদ্মশিবিরে (পদ্মফুল বিজেপির নির্বাচনী প্রতীক)।
এ অবস্থায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, বিধায়ক বীরজিত সিনহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাজ্য তথা দেশের প্রাচীনতম দল কংগ্রেসের ভিটেমাটি জবরদখল করতে চাইছে বিজেপি। রাজ্য পুলিশের প্রধানের কাছে ডেপুটেশন দিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। কংগ্রেস এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামবে।’
তবে পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। রাজ্য পুলিশের ডিআইজি অরিন্দম নাথ জানান, অভিযোগ পেলেই প্রশাসনিক তদন্ত সাপেক্ষে তাঁরা উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র অরুণকান্তি ভৌমিকও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন। তাঁর মতে, ‘কংগ্রেস দলটাই তো রাজ্য থেকে উঠে গেছে, তা অফিস থাকবে কী করে!’
এটা অবশ্য মানতে চান না বীরজিত সিনহা। ২০১৮ সালের শুরুতেই ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন। কংগ্রেস তার আগেই পূর্ণ শক্তি নিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে বলেও বীরজিতের দাবি। শিগগিরই রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে মানুষের কাছে যাবেন বলেও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জানান।
দলকে চাঙা করতে বৃহস্পতিবার প্রদেশ কংগ্রেসের বর্ধিত কমিটির সভাও বসছে আগরতলায়। সেখানেই পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক হবে বলে জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেসের সহসভাপতি তাপস দে।