মাদ্রাসার ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ

ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি মাদ্রাসার হোস্টেলের ছাত্রীদের ওপর যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগ এসেছে। গত শুক্রবার গভীর রাতে ওই হোস্টেল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৫১ ছাত্রীকে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে হোস্টেলের সুপারকে।

উদ্ধারকৃত ছাত্রীদের সরকারি হোমে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার সুপারকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় আদালত।

অভিযোগে বলা হয়, ভারতের উত্তর প্রদেশের রাজধানী লক্ষ্ণৌয়ের পুরোনো শহরের সাদতগঞ্জের ইয়াসিনগঞ্জ এলাকার জামিয়া খাদিজাতুল লিলানওয়াত মাদ্রাসার একটি ছাত্রী হোস্টেলে সুপার নিয়মিত ওই সব ছাত্রীর ওপর যৌন নির্যাতন চালালেও ছাত্রীরা মুখ বুজে থাকত। কারণ, ছাত্রীদের বাইরে বের হওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। উত্তর প্রদেশ এবং অন্য রাজ্য থেকে আনা হয়েছে এই ছাত্রীদের। এই হোস্টেলে ছিল ১২৬ জন ছাত্রী। কিন্তু ঘটনার দিন হোস্টেলে অবস্থান করছিল ৫১ জন ছাত্রী।

এই ছাত্রীরা বেশ কিছুদিন ধরে কাগজের টুকরায় তাদের নির্যাতনের কথা লিখে তা ছুড়ে দিত রাস্তায়। এরপরই পাড়া–পড়শিরা ওই কাগজের টুকরো পেয়ে শরণাপন্ন হন পুলিশ এবং রাজ্যের শিশুকল্যাণ দপ্তরে। তারপর গত শুক্রবার গভীর রাতে ওই ছাত্রী হোস্টেলে হানা দিয়ে পুলিশ উদ্ধার করে ৫১ ছাত্রীকে।

উদ্ধার হওয়া ছাত্রীদের ভাষ্য, হোস্টেলের সুপার কাজী মহম্মদ তৈয়ব জিয়া তাদের ওপর নিয়মিত নির্যাতন চালাতেন। এমনকি সাত কিশোরীকে ধর্ষণ করারও অভিযোগ রয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তা দীপক কুমার বলেছেন, গোমতী নগরের বাসিন্দা ১৫ বছরের এক কিশোরীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের হয়েছে মামলা। ওই কিশোরী আরও বলেছে, সুপারের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে রাজি না হলে মারধর করা হতো ছাত্রীদের।