'আমার পারমাণবিক বোতাম আরও বড়'

কিম জং উন, ডোনাল্ড ট্রাম্প
কিম জং উন, ডোনাল্ড ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে পারমাণবিক বোমা নিয়ে পাল্টাপাল্টি হুমকি চলছেই। গত সোমবার উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে হুমকি দিয়েছেন, পারমাণবিক বোমা ছোড়ার বোতাম তাঁর অফিস কক্ষের টেবিলেই থাকে। পাল্টা জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দেন, তাঁর বোতামটা উনের বোতামের চেয়ে বড় এবং আরও শক্তিশালী।

আজ বুধবার এক টুইট বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং বলেছেন, পারমাণবিক বোমার বোতাম সব সময় তাঁর ডেস্কে থাকে। তাঁর হাভাতে আর ভুখানাঙ্গা দেশের এমন কেউ কি আছেন, যিনি তাঁকে গিয়ে বলবেন যে আমারও একটি বোতাম আছে। এটি তাঁর বোতামের চেয়ে আরও বড় এবং অধিক শক্তিশালী। আর আমার বোতামটি কাজ করে!’

সোমবার নববর্ষ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে উন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূমির পুরোটাই আমাদের পারমাণবিক অস্ত্রের আওতায় রয়েছে। আমার কার্যালয়ের টেবিলে সব সময় পারমাণবিক অস্ত্রের বোতাম রাখা থাকে। আর এটা হুমকি নয়, বাস্তবতা—এটা খুব ভালোভাবে বুঝে নিয়ে তাদের সতর্ক হওয়া উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া শান্তির সপক্ষে থাকা পারমাণবিক শক্তির অধিকারী দেশ। সরাসরি হামলা না হলে আমরা আমাদের পারমাণবিক শক্তি প্রয়োগ করব না।’

আজ ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা জবাবের টুইটটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করে। বিশ্ববাসীর নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে দুই নেতার এমন বক্তব্য কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ।

এর সমালোচনা করে সাংবাদিক ডেভিড সায়মন টুইটারে লিখেছেন, মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা দুজন ব্যক্তি এত নীচ, অন্তঃসারশূন্য এবং আহাম্মক হতে পারেন না!

সিবিএস নিউজের সাংবাদিক মার্ক নোলার মার্কিন প্রেসিডেন্টের ডেস্কের একটি ছবি শেয়ার করে কৌতুক করে টুইটারে লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্টের ডেস্কে থাকা বোতাম সম্পর্কে আমরা জানি যে তা টিপে খানসামাকে ডায়েট কোক আনার জন্য তলব করা হয়, সেই বোতাম দিয়ে পারমাণবিক বোমা ছোড়া যায় না।’