পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতির শাসনের দাবি করেছেন এ রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার অবনতি হয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে তিনি এ দাবি করেন। 

আজ শুক্রবার কলকাতার ধর্মতলায় দলীয় এক সভায় এ দাবি তোলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, এই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে। গণতন্ত্র হুমকির মুখে। তাই এই রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করা হোক।
পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের সঙ্গে বিজেপিশাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের দূরত্ব দিন দিন বাড়ছেই। আজ কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহনমন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি বলেছেন, ১৬ জানুয়ারি কলকাতায় অনুষ্ঠেয় বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে আসবেন না। বিজেপির তরফ থেকে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মন্ত্রী বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন বয়কট করেছেন।
পূর্বঘোষিত অনুযায়ী আজ বিজেপির যুব মোর্চার ডাকে রাজ্যব্যাপী মোটর বাইকযোগে সংকল্প যাত্রার কর্মসূচি ছিল। এই কর্মসূচি পালনের জন্য প্রথমে বিজেপি পুলিশের অনুমতির জন্য দ্বারস্থ হয়ে সংকল্প যাত্রা করার অনুমতি পায়নি। এরপর কলকাতা হাইকোর্ট থেকে অনুমতি পায় গতকাল। সেই লক্ষ্যে আজ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত এই সংকল্প যাত্রার কর্মসূচি পালন করার উদ্যোগ নেয় বিজেপির যুব মোর্চা।
এই লক্ষ্য নিয়ে আজ সকালে সংকল্প যাত্রা শুরুর সময় কলকাতার পাথুরিয়াঘাটার জোড়াবাগানে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের। এ সময় বিনানী ভবনে বিজেপির সমর্থকেরা জড়ো হয়েছিলেন। ওখানেও এই দুই দলের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। লাঠিসোঁটা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হামলা চলে। এতে আহত হন বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতিসহ বেশ কয়েকজন। আহত হন দুই পুলিশও। দুটি গাড়ি ভাঙচুর হয়। দোকানপাটে হামলা হয়।
এ ঘটনার পর বিজেপির নেতারা ছুটে যান কলকাতা হাইকোর্টে। আবেদন করেন তাঁদের কর্মসূচি নির্বিঘ্নে পালন করার। অভিযোগ করেন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির। এ ঘটনার পর বিজেপি আজকের বাইক মিছিলও বন্ধ করে দেয়।
হাইকোর্ট এরপরই নির্দেশ দেন ১৫ থেকে ২০ জানুয়ারি পালন করতে পারবে বিজেপি তাদের কর্মসূচি। এ সময় উপস্থিত থাকবেন স্পেশাল অফিসারসহ ম্যাজিস্ট্রেট।