রোহিঙ্গা নির্যাতনের তদন্তের আহ্বান

মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোয় গতকাল দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তাঁর সঙ্গে হাত মেলান যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন।  ছবি: রয়টার্স
মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোয় গতকাল দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তাঁর সঙ্গে হাত মেলান যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। ছবি: রয়টার্স

মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোয় গতকাল রোববার এ বৈঠক হয়। এ সময় বরিস জনসন রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান।
বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে বরিস জনসন বলেন, ‘রাখাইনে সহিংসতার ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য আমি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর আহ্বান জানিয়েছি। একই সঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনার কথাও বলেছি।’ এই বৈঠকের আগে তিনি রাখাইনে একটি সংক্ষিপ্ত পরিদর্শনেও যান।
এর আগে বাংলাদেশ সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ছাড়া তিনি গত শনিবার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরও পরিদর্শন করেন। এরপর বরিস জনসন বলেছেন, শিবিরে রোহিঙ্গাদের বসবাসের ‘ভয়াবহ পরিস্থিতি’ এই সংকটের একটি সমাধান অনুসন্ধানে তাঁর প্রতিশ্রুতি আরও দৃঢ় করেছে। তিনি আরও বলেছেন, সঠিক পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক নজরদারির আওতায় রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন সম্পন্ন করতে হবে।
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা-অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে গত আগস্টে তল্লাশিচৌকিতে হামলার পর সেখানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এরপর প্রাণ বাঁচাতে দলে দলে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে রোহিঙ্গারা। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, এ দফায় প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এই রোহিঙ্গাদের প্রায় সবাই অভিযোগ করেছে, মিয়ানমারের সেনারা রাখাইনে অভিযানের নামে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছেন।
বিবিসির সংবাদদাতা রীতা চক্রবর্তী জানান, অং সান সু চির সঙ্গে বরিস জনসনের সাক্ষাতের প্রথম পর্যায়টা উষ্ণই ছিল। দুজনের মুখেই হাসি ছিল এবং পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলান তাঁরা।
মিয়ানমার সফরের অংশ হিসেবে এরপর বরিস জনসনের রাখাইন রাজ্যে যাওয়ার কথা। দেশটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে তাঁর।