গ্রহাণু দিয়ে প্রাণের আগমন!

প্রাণ সংরক্ষণ এবং তা পৃথিবীতে আনতে পারে গ্রহাণু—এমন মতবাদ বিশ্বে রয়েছে অনেক দিন থেকেই। যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির একদল বিজ্ঞানী এই মতবাদের পক্ষেই মত দিলেন। তাঁদের নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, গ্রহাণুর সাহায্যে সৌরজগৎ থেকে পৃথিবীতে প্রাণের আগমন ঘটানো সম্ভব।

গত অক্টোবরে সৌরজগতে ওউমুয়ামুয়া নামের একটি অচেনা গ্রহাণুর উপস্থিতি ধরা পড়ার পর তা নিয়ে করা গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। ওউমুয়ামুয়া নিয়ে ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি হয়। এর আগে একটি গবেষক দল জানিয়েছিল, গ্রহাণুটিতে এলিয়েন প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে। এ জন্য এর ওপরের অংশ পরীক্ষা করে দেখে তা প্রমাণে ব্যর্থ হয় তারা। নতুন গবেষণা বলছে, পাথরের মতো দেখতে এই গ্রহাণু প্রায় এলিয়েন মহাকাশযানের আকৃতির।

প্রাণের উৎপত্তি পৃথিবীতে নয়, বরং অন্য কোথাও থেকে হয়েছে বলে আলোচিত প্যান্সপারমিয়া তত্ত্বে উল্লেখ রয়েছে। সৌরজগতে ওউমুয়ামুয়া গ্রহাণুর উপস্থিতির পর হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মানাসভি লিনগাম ও আব্রাহাম লোয়েব এই তত্ত্ব বিশদভাবে পরীক্ষা করে দেখেন।

অধ্যাপক লোয়েব বলেন, পাথরের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন গ্রহে বিশেষ প্রাণ স্থানান্তর করা যেতে পারে। আমরা জানি যে এভাবেই মঙ্গল গ্রহের পাথর পৃথিবীতে এবং এ রকম কোনো স্থানে পৌঁছায়। পৃথিবীতে সৃষ্ট মাইক্রোস্কোপিক টার্ডিগ্রেডসের মতো বিভিন্ন উপাদান মহাশূন্যের নানা কঠিন পরিবেশেও টিকে থাকতে সক্ষম। ঠিক বিপরীতভাবে, প্রাণের জন্য রাসায়নিক ‘বীজ’ দূরবর্তী সৌরজগৎ থেকে পাথরের ভেতর দিয়ে সরবরাহ করা যেতে পারে।