ভারতে রাজ্যসভার ৫৯ আসনে নির্বাচন

ভারতে আজ শুক্রবার আইনসভার (সংসদ) উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার ৫৯ আসনে নির্বাচন। পর্যায়ক্রমে এসব আসন শূন্য হওয়ায় আজ নির্বাচন হচ্ছে। প্রার্থী সংখ্যা ৬৭। ভারতের আইনসভার উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার আসন ২৫০। আর নিম্নকক্ষ লোকসভার আসন ৫৪৩। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ। নিজ নিজ রাজ্যের বিধানসভা ভবনে ভোট নেওয়া হবে।

আজকের নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের পাঁচটি আসন রয়েছে। প্রার্থী ছয়জন। এখানে ভোট দেবেন বিধানসভার ২৯৩ জন বিধায়ক। পশ্চিমবঙ্গের শূন্য পাঁচটি আসনের মধ্যে চারটি আসনের জয় নিশ্চিত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের। অন্য একটি আসনে সিপিএম একজন প্রার্থী দেওয়ায় সেখানে নির্বাচন অবধারিত হয়ে পড়েছে। এই আসনে তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় কংগ্রেসের প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভিকে প্রার্থী করায় তাঁর জয়ও প্রায় নিশ্চিত। সিপিএম কংগ্রেস এই পঞ্চম আসনের প্রার্থী নিয়ে সমঝোতায় না পৌঁছানোয় এই আসনে নির্বাচন অনিবার্য হয়ে পড়ে। সিপিএমের প্রার্থী হয়েছেন রবীন দেব।

অ্যাসোসিয়েশন অব ডেমোক্রেটিক রিফর্মস বা এডিআর তাদের এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলেছে, এবার রাজ্যসভার নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ৬৪ জন প্রার্থীর ৮৭ শতাংশই কোটিপতি। প্রার্থী সংখ্যা ৫৫।

৬৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দেওয়া সম্পত্তির পরিমাণ পর্যালোচনা করে সমীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি করেছে এডিআর। কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি কংগ্রেসের। এরপর রয়েছে বিজেপি।

এডিআরের প্রতিবেদন অনুসারে, সবচেয়ে ধনী প্রার্থী হলেন সংযুক্ত জনতা দলের প্রার্থী মহেন্দ্র প্রসাদ। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৪ হাজার ৭৮ কোটি রুপি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী অমিতাভ বচ্চনের স্ত্রী জয়া বচ্চন। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১ হাজার ১ কোটি রুপি। এরপর রয়েছেন ধর্মনিরপেক্ষ জনতা দলের প্রার্থী বি এম ফারুক। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৭৬৬ কোটি রুপি। এরপর কংগ্রেসের প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভি। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৬৪৯ কোটি রুপি। চতুর্থ স্থানে তেলেগু দেশম পার্টির প্রার্থী সিএম রমেশ। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ২৫৮ কোটি রুপি। দরিদ্রতম প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির প্রার্থী সমীর ওরাঙ। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১৮ লাখ রুপি আর বিজু জনতা দলের প্রার্থী অচ্যুতানন্দ সামানন্ত। সম্পত্তির পরিমাণ ৪ লাখ রুপি।

এডিআরের প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে ৮ জনের বিরুদ্ধে রয়েছে অপহরণ, খুনের চেষ্টা ও ডাকাতির মামলা। ৭ জন প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত। আর ৫৫ জনের যোগ্যতা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর।