ফরসা করতে শিশুর শরীরে পাথর ঘষলেন মা!

ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপালের নিশাতপুরা গ্রামের স্কুলশিক্ষিকা সুধা তেওয়ারি বছর দেড়েক আগে একটি ছেলেশিশুকে দত্তক নেন। শিশুটিকে নিয়ে আসেন উত্তরাখন্ড রাজ্যের একটি অনাথ আশ্রম থেকে। শিশুটির গায়ের রং ছিল কালো। এ নিয়ে বেজায় অসন্তুষ্ট ছিলেন সুধা তেওয়ারি।

শিশুটির গায়ের রং ফরসা করার জন্য সুধা নানা জিনিস ব্যবহার করতে থাকেন। তাতে কোনো ফল হয়নি। শেষ পর্যন্ত একজনের পরামর্শে কালো পাথর এনে তিনি শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থানের চামড়া ঘষতে শুরু করেন। প্রতিবার পাথর ঘষার সময় শিশুটি কান্নাকাটি করত। এতে কর্ণপাত না করে ঘষা অব্যাহত রাখেন সুধা। একপর্যায়ে শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থান রক্তাক্ত জখম হয়। এরপরও সুধা তেওয়ারি পাথর ঘষার কাজ চালিয়েই যান। 

বিষয়টি জানতে পারে সুধার বড় বোনের মেয়ে শোভনা শর্মা তাঁর খালাকে এই কাজ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা। পরে শোভনা বাধ্য হয়ে বিষয়টি ভোপালের চাইল্ড হেলপলাইনে জানান। চাইল্ড হেলপলাইনের সদস্যরা গতকাল রোববার সুধার বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এরপর তাকে ভর্তি করায় ভোপালের হামিদিয়া হাসপাতালে।

চাইল্ড হেলপলাইনের পরিচালক অর্চনা সহায় বলেন, তাঁরা খবর পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তখন শিশুটির গায়ের চামড়ার অবস্থা ভয়াবহ খারাপ ছিল। তবে শিশুটি এখন ভালো আছে। বিষয়টি এখন চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিশনে চলে গেছে। কমিশন ঘটনাটির তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে।