ইসরায়েল-গাজা সীমান্তে সংঘর্ষ, নিহত ৯

ইসরায়েল-গাজা সীমান্তে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভ। ৬ এপ্রিল, গাজা। ছবি: রয়টার্স
ইসরায়েল-গাজা সীমান্তে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভ। ৬ এপ্রিল, গাজা। ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েল-গাজা সীমান্তে গতকাল শুক্রবার ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে এ পর্যন্ত নয়জন নিহত হয়েছে। আজ শনিবার সকালে গতকালের সংঘর্ষের সময় আহত ফিলিস্তিনি আলোকচিত্র সাংবাদিক ইয়াসির মর্তুজাসহ দুজন মারা গেছেন।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকালের সংঘর্ষে সাতজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিল। আজ মর্তুজাসহ আরও একজন নিহত হন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আজ দুজনের নিহত হওয়ার কথা জানানো হয়।

এ নিয়ে এক সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ২৯ জন নিহত হলো।

গাজাভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আইন মিডিয়ার আলোকচিত্র সাংবাদিক ছিলেন ইয়াসির মর্তুজা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গতকালের সংঘর্ষে আহত ২০ বছর বয়সী যুবক হামজা আবদেল আল আজ মারা গেছেন। মধ্য গাজার পূর্ব দিক আল-বরেজিতে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। গতকালের সংঘর্ষে অন্তত ৪৯১ জন আহত হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় দাবি করে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে গতকাল অন্যতম বড় সমাবেশ করে ফিলিস্তিনিরা। তারা কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। তারা বিক্ষোভ দেখাতে দেখাতে সীমান্তের সাধারণের প্রবেশাধিকার নেই—এমন এলাকায় ঢুকে পড়ে। তারা টায়ার পোড়াতে থাকে এবং ইসরায়েলি সেনাদের দিকে পাথর ছুড়তে থাকে। এ সময় ২৭ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী বলছিলেন, ‘ইসরায়েল আমাদের সবকিছু নিয়ে গেছে। আমাদের জমি, স্বাধীনতা ভবিষ্যৎ, সব নিয়ে গেছে ওরা।’

বিক্ষোভের একপর্যায়ে গতকাল গুলি ছোড়ে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে গতকালই সাতজন নিহত হয়।

এদিকে এ সহিংস বিক্ষোভের ইন্ধন দেওয়ার জন্য হামাসকে দায়ী করেছেন ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র ডেভিড কিয়েস। তিনি বলেন, ‘হামাস সরকার ফিলিস্তিনি জনগণকে ইসরায়েলিদের ওপর হামলার জন্য উদ্বুদ্ধ করছে। তারা সন্ত্রাসী ঘটনার জন্য মানুষকে উৎসাহিত করছে।’

হামাসের গাজা অঞ্চলের নেতা এহিয়া আল-সিনওয়ার বলেন, ‘এই বিক্ষোভ চলবে। আমরা এই সীমান্তের বেড়া তুলে ফেলব।’