ভারতের ফেরারি তালিকায় পাকিস্তানি কূটনীতিক

আমির জুবায়ের সিদ্দিকী। ছবি: সংগৃহীত
আমির জুবায়ের সিদ্দিকী। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ পাকিস্তানি একজন কূটনীতিককে তাদের ফেরারি তালিকায় ঢুকিয়েছে। তাঁর ব্যাপারে তথ্য চেয়ে ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে।

এনআইএ বলেছে, পাকিস্তানি এই কূটনীতিক হলেন শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় পাকিস্তানি হাইকমিশনের সাবেক ভিসা পরামর্শদাতা আমির জুবায়ের সিদ্দিকী। তিনি ছাড়াও তাদের ওই তালিকায় পাকিস্তানি আরও দুই কর্মকর্তা রয়েছেন। সংস্থাটির অভিযোগ, তাঁরা ২০০৮ সালের নভেম্বরে মুম্বাইয়ে ভয়াবহ হামলার মতো (২৬/১১ হামলা) ২০১৪ সালে দক্ষিণ ভারতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি কনস্যুলেটের পাশাপাশি ভারতীয় সেনা ও নৌবাহিনীর কমান্ডে হামলা চালানোর ষড়যন্ত্র করেছিলেন। সংস্থাটি আরও অভিযোগ করেছে, শ্রীলঙ্কায় হাইকমিশনের আরেক পাকিস্তানি কর্মকর্তাও এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন।

এনআইএ এই কর্মকর্তাদের ধরিয়ে দিতে ইন্টারপোলের কাছে রেড কর্নার নোটিশ (আরসিএন) জারির অনুরোধ পাঠিয়েছে। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই কর্মকর্তাদের ইসলামাবাদে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এনআইএ গত ফেব্রুয়ারিতে আমির জুবায়ের সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে। তবে তখনো বাকি তিন পাকিস্তানি কর্মকর্তা শনাক্ত হননি।

আমির জুবায়েরের বাইরে পাকিস্তানের বাকি যে দুই কর্মকর্তাকে ওই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তাঁদের একজন দেশটির গোয়েন্দা কর্মকর্তা। অন্যজনের সাংকেতিক নাম ‘বস ওরফে শাহ’। একজন ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, ভারত এই প্রথম কোনো পাকিস্তানি কূটনীতিককে তার ফেরারি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করল বা কাউকে ধরিয়ে দিতে ইন্টারপোলের কাছে রেড কর্নার নোটিশ জারির অনুরোধ জানাল।

এনআইএর দাবি, এই পাকিস্তানি কর্মকর্তারা কলম্বোতে ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। নিজেদের এজেন্টদের সহায়তায় তাঁরা চেন্নাই ও দক্ষিণ ভারতের আরও কিছু স্থানের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ২৬/১১ হামলার মতো আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ওই কূটনীতিক মোহাম্মদ সাকির হোসেন নামে এক শ্রীলঙ্কান ও আরও কয়েকজনকে ভাড়া করেন বলে কথিত রয়েছে। ভাড়া করা এই ব্যক্তিদের মধ্যে অরুণ সেলভারাজ, শিভাবালান ও থামিম আনসারি নামে কয়েকজন ছিলেন যাঁদের পরবর্তী সময়ে ভারতে গ্রেপ্তার করে এনআইএ।