গেরুয়া সন্ত্রাস: সবাই বেকসুর খালাস

২০০৭ সালে হায়দরাবাদের মক্কা মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটানো হয় (এএফপির ফাইল ছবি)
২০০৭ সালে হায়দরাবাদের মক্কা মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটানো হয় (এএফপির ফাইল ছবি)

ভারতে গেরুয়া সন্ত্রাস বলে পরিচিত মক্কা মসজিদ বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বেকসুর খালাস দিলেন হায়দরাবাদের বিশেষ আদালত। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন গেরুয়াধারী সন্ন্যাসী অসীমানন্দ, যিনি একসময় রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের সাবেক সদস্য। সন্ন্যাস গ্রহণের আগে অসীমানন্দর নাম ছিল নব কুমার সরকার।

দীর্ঘ ১১ বছর আগে ২০০৭ সালের ১৮ মে হায়দরাবাদের মক্কা মসজিদে শুক্রবারের নামাজ চলাকালীন ওই বিস্ফোরণে মোট নয়জনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছিলেন ৫৮ জন। হায়দরাবাদ পুলিশের হাত থেকে তদন্তের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল সিবিআইকে। সাত বছর আগে সিবিআইয়ের হাত থেকে তদন্ত চলে যায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএর কাছে। সোমবার এনআইএর বিশেষ আদালত জানায়, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা যে বিস্ফোরণকাণ্ডে জড়িত ছিলেন, এনআইএ তা প্রমাণ করতে পারেনি। ওই বিস্ফোরণে পাইপবোমা ব্যবহার করা হয়েছিল।

হায়দরাবাদ পুলিশ প্রথমে দায়ী করেছিল হরকাত উল জিহাদ ইসলামি নামে এক সংস্থাকে। শতাধিক মুসলিমকে এ জন্য গ্রেপ্তারও করা হয়। ২০০৮ সালে তারা ছাড়া পায়। দুই বছর পর সিবিআই হিন্দু উগ্রপন্থী সংগঠনদের ওই বিস্ফোরণের জন্য দায়ী করে। চার্জশিটে বলা হয়, একের পর এক ইসলামি মৌলবাদী আক্রমণে ক্ষুব্ধ হয়ে হিন্দু উগ্রপন্থী সংগঠন অভিনব ভারত এই কাজ করে। ওই অভিযোগেই অসীমানন্দকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এরপর থেকেই ‘হিন্দু সন্ত্রাস’ শব্দ চালু হয়ে যায়। সোমবার আদালতের রায়ের পর বিজেপি নেতৃত্ব ‘হিন্দু সন্ত্রাস’ শব্দের জন্য কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছে।

এই রায়ের পর কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন, এনআইএর কাছ থেকে এর বেশি আশা করা অন্যায়। তারা বিজেপি সরকারের হুকুমে ওঠে-বসে। হায়দরাবাদের সাংসদ আসাউদ্দিন ওয়াইসি বলেন, ন্যায়বিচার হলো না। এনআইএ একটা মূক ও বধির তোতাপাখি। তারা তো অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জামিনের আবেদনেরও বিরোধিতা করেনি। এভাবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করা যায় না।