রাসায়নিক হামলার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান রাশিয়ার

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। ছবি: রয়টার্স
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। ছবি: রয়টার্স

সিরিয়ার দুমায় রাসায়নিক অস্ত্র হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো ওই হামলার জন্য সিরিয়া ও তার মিত্র রাশিয়াকে দায়ী করে আসছে।

সোমবার বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লাভরভ বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে ওই এলাকার কোনো ক্ষতি রাশিয়া করেনি।’

সের্গেই লাভরভ বলেন, ‘অন্যান্য দেশের শীর্ষ নেতাদের মতো আমি অভদ্র হতে পারি না। ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে অভিযোগটি তুলেছেন।’

রাসায়নিক অস্ত্র হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা হামলাস্থলে পৌঁছানোর আগেই কেন যুক্তরাষ্ট্র এবং তাঁর মিত্র রাষ্ট্রগুলো সিরিয়ায় বিমান চালাল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রুশ এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ করে সের্গেই লাভরভ বলেন, শনিবার সিরিয়ায় শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্রের দুই-তৃতীয়াংশ নিক্ষেপ করে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে।

৭ এপ্রিল সিরিয়ার পূর্ব গৌতার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত দুমায় রাসায়নিক গ্যাস হামলায় শ্বাসকষ্টে ৮০ জন নিহত হয়। এ ছাড়া শ্বাসকষ্টে ভুগছে কয়েক শ মানুষ। এই রাসায়নিক হামলার নিন্দা জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর আসাদ সরকারের মিত্র রাশিয়াকে দায়ী করে। আর রাশিয়া হামলার অভিযোগ বানোয়াট বলে উড়িয়ে দেয়। তবে এবার আরও জোরালোভাবে হামলার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করল রাশিয়া। এর এক দিন পর ৯ এপ্রিল সিরিয়ার সামরিক বিমানঘাঁটিতে হামলায় সিরীয় ও ইরানি বাহিনীর ১৪ সদস্য নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল এই হামলাটি চালিয়েছে বলে দাবি করেছে সিরিয়া ও এর মিত্র রাশিয়া। রাসায়নিক হামলার জবাবে এরপর ১৩ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য যৌথভাবে সিরিয়ায় বিমান হামলা চালায়।