সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার কাজ দ্রুত শেষ করতে চায় ত্রিপুরা সরকার

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার পাশে সশস্ত্র বিএসএফ জওয়ানদের প্রহরা। ছবি: প্রথম আলো
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার পাশে সশস্ত্র বিএসএফ জওয়ানদের প্রহরা। ছবি: প্রথম আলো

ত্রিপুরায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে দ্রুত কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ শেষ করতে চায় ত্রিপুরা সরকার। কাজ দ্রুত শেষ করতে নিযুক্ত এনবিসিসি নামের প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যের ৯০ শতাংশ এলাকায় বেড়া দেওয়ার কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ৮৫৬ কিলোমিটার ত্রিপুরার সঙ্গে। অন্য রাজ্যগুলোর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ২ হাজার ২১৬ কিলোমিটার, মেঘালয়ে ৪৪৩ কিলোমিটার, মিজোরামে ৩১৮ কিলোমিটার এবং আসামে ২৬৩ কিলোমিটার।

ত্রিপুরায় বাংলাদেশ ছাড়া আসামে ৫৩ কিলোমিটার এবং মিজোরামের সঙ্গে ১০৯ কিলোমিটার আন্তরাজ্য সীমান্ত রয়েছে। সেখানে ৭৩০ দশমিক ৫ কিলোমিটার কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। বাকি অংশে বেড়া দেওয়ার কাজ শেষ করতে তোড়জোড় চলছে। ওই এলাকাতেও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাঁটাতারের বেড়া দিতে বলা হয়েছে। তবে বিভিন্ন জায়গায় জিরো পয়েন্ট থেকে ১৫০ মিটার জমি ছেড়ে বেড়া দিতে সমস্যা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ করছে।

সরকারি সূত্র বলছে, কোনো ধরনের প্রতিবাদ বরদাশত না করার জন্য পুলিশ ও বিএসএফকে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তিনি বলেন, বেড়া দিতে হবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন করা হবে সরকারি নিয়ম মেনে।

ত্রিপুরার সিপাহিজলী জেলায় কুমিল্লার সীমান্তবর্তী সোনামুরা মহকুমায় এখনো ৯ দশমিক ৩১৬ কিলোমিটার এলাকা কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ এখনো বাকি। এখানে ৭ দশমিক ৯৬ কিলোমিটার এক সারির এবং ১ দশমিক ২২০ কিলোমিটার তিন সারির কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু জমি অধিগ্রহণের পর গ্রামবাসী বেঁকে বসে। তবে কোনো বাধা না মানার কথা বলেছেন বিপ্লব কুমার।