সড়কে গাড়ি চালাতে প্রস্তুত সৌদি নারীরা

আর কিছুদিন পরেই উঠে যাচ্ছে নিষেধাজ্ঞা। সড়কে পুরুষের পাশাপাশি নিজেদের অংশ বুঝে নিতে ইতিমধ্যেই প্রস্তুত সৌদি নারীরা। ১ জুন থেকে সৌদি আরবে উঠে যাচ্ছে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা।

গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করেই আসে সিদ্ধান্ত। সৌদি আরবে প্রথমবারের মতো নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতিসংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেন দেশটির বাদশাহ সালমান। এত দিন পর্যন্ত বিশ্বে সৌদি আরবই একমাত্র দেশ ছিল, যেখানে নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি নেই। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই সিদ্ধান্তে তেমন খুশি নন সৌদি পুরুষেরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নিজেদের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন তাঁরা। বিপরীতে নারীরাও হচ্ছেন সরব।

টুইটারে নিজের পছন্দের গাড়ির ছবি পোস্ট করেন কোনো কোনো নারী।
টুইটারে নিজের পছন্দের গাড়ির ছবি পোস্ট করেন কোনো কোনো নারী।

গত মঙ্গলবার আরবি ভাষায় ‘হ্যাশট্যাগ তোমরা গাড়ি চালাবে না’ প্রচারণা চালাতে শুরু করেন পুরুষেরা। ইতিমধ্যে টুইটারে ভাইরাল হয় তাঁদের এই প্রচারণা। প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ ব্যবহার করেছে ওই হ্যাশট্যাগ।

তবে পুরুষদের এই প্রচারণা দেখে চুপ করে বসে নেই নারীরা। তাঁরাও ওই প্রচারণার বিপরীতে মজার মজার ভিডিও পোস্ট করতে শুরু করেন। অনেক নারী তাঁদের স্বপ্নের গাড়ির ছবি ওই হ্যাশট্যাগের বিপরীতে ব্যবহার করেন। টুইটারে একজন চমৎকার একটি গোলাপি রঙের গাড়ির ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘আমার গাড়ি, জুন ২০১৮’। কেউ কেউ তাদের ড্রাইভিং স্কুলের বইয়ের ছবি পোস্ট করেন। আবার কেউবা সহজ ভাষায় লেখেন, ‘আমি গাড়ি চালাব’। নারীদের বিষয়ে হস্তক্ষেপ রাখে—এমন পুরুষকে ‘হারুপাট্টি’ বলেও মন্তব্য করেন কোনো কোনো নারী।

ড্রাইভিং স্কুলের বইয়ের ছবিও পোস্ট দেন কেউ কেউ। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া
ড্রাইভিং স্কুলের বইয়ের ছবিও পোস্ট দেন কেউ কেউ। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

সারাহ আল ওতাইবি নামের এক নারী লেখেন, ওটা জঘন্য হ্যাশট্যাগ। যেসব নারী গাড়ি চালাতে চাইছেন, তাঁদের হুমকি দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।

এর আগে সৌদি প্রেস এজেন্সি জানায়, রাজকীয় আদেশ অনুযায়ী পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও গাড়ি চালানোর লাইসেন্স দেওয়া হবে।

গত বছরের অক্টোবরের দিকে প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান কট্টরপন্থী সৌদি আরবকে মধ্যপন্থী রাষ্ট্রে পরিণত করার পরিকল্পনার কথা জানান। নারীদের গাড়ি চালনার অনুমতি প্রদান ওই পরিকল্পনারই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।