হ্যারি-মেগানের বিয়েতে ষাঁড়ের ছবি উপহার

রাজকীয় বিয়েতে এই ষাঁড় উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ভারতীয় সংস্থা পিপল ফর দ্য এথিকাল ট্রিটমেন্ট অব অ্যানিমেলস (পিইটিএ)। ষাঁড় পাঠানো সম্ভব না হওয়ায় এখন ষাঁড়ের ছবি পাঠানো হবে। ছবিটি সংস্থাটির ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া
রাজকীয় বিয়েতে এই ষাঁড় উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ভারতীয় সংস্থা পিপল ফর দ্য এথিকাল ট্রিটমেন্ট অব অ্যানিমেলস (পিইটিএ)। ষাঁড় পাঠানো সম্ভব না হওয়ায় এখন ষাঁড়ের ছবি পাঠানো হবে। ছবিটি সংস্থাটির ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

ব্রিটিশ রাজপরিবারে আজ চলছে আনন্দ-উৎসব। প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে বিয়ে হয়েছে হলিউড অভিনেত্রী মেগান মার্কেলের। বিশ্বজুড়ে প্রচুর মানুষ এই নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বহু মানুষ সরাসরি উপভোগও করেছেন চার হাত এক হওয়ার অনুষ্ঠান। হ্যারি-মেগানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বেশ অভিনব একটি উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা ভারতের একটি সংস্থা। রাজকীয় বিয়েতে একটি ষাঁড় উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ষাঁড় উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ভারতীয় সংস্থা পিপল ফর দ্য এথিকাল ট্রিটমেন্ট অব অ্যানিমেলস (পিইটিএ)। প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করে এই সংস্থা। হ্যারি-মেগানের বিয়েতে উপহার দেওয়া ষাঁড়টির নাম রাখা হয়েছে ‘মেরি’। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রিন্স হ্যারি ও মেগানের নাম থেকেই তৈরি হয়েছে ষাঁড়ের নাম। তবে জলজ্যান্ত ষাঁড়টিকে রাজপ্রাসাদে পাঠানো সম্ভব না হওয়ায় বিকল্প হিসেবে পাঠানো হবে ষাঁড়ের একটি ছবি।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, মেরি নামের ষাঁড়টি এখন ভারতের মহারাষ্ট্রের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে আছে। পিইটিএ সেটিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছিল। ষাঁড়টির ঘাড়ে আঘাত ছিল। পরে সেটির চিকিৎসা করা হয়।

পিইটিএর প্রতিষ্ঠাতা ইনগ্রিদ নিউকার্ক বলেন, ‘প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেলের এখন নিজেদের একটি ষাঁড় আছে। রাজকীয় বিয়ের জন্য মেরি একটি আদর্শ উপহার। কারণ এই নবদম্পতি তাঁদের দিনগুলোকে দাতব্য কাজের মাধ্যমে উদ্‌যাপন করতে চান। আমাদের চারপাশে থাকা অন্য প্রাণীদের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের চিন্তা প্রসারের জন্য রাজকীয় বিয়ে একটি মোক্ষম মুহূর্ত।’

পিইটিএর আরেক কর্মকর্তা শচীন বাংগেরা বলেন, এই উপহার দেওয়ার মাধ্যমে প্রাণীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন তাঁরা। তিনি আরও বলেন, ‘প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেলের নামে ষাঁড়টির নামকরণ করেছি আমরা। বাস্তবে ষাঁড়টি পাঠিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ এটি মহারাষ্ট্রের সম্পদ। তাই ষাঁড়টির একটি ছবি তৈরি করে তা ফ্রেমে বাঁধিয়েছি আমরা। তাতে ষাঁড়টিকে উদ্ধারের কাহিনিও লেখা আছে। হ্যারি-মেগানের কাছে এই ছবিটি পাঠাব আমরা।’

শনিবার যুক্তরাজ্যের সেন্ট জর্জ চ্যাপেলে বর প্রিন্স হ্যারির বাবা প্রিন্স চার্লসের হাত ধরে বিয়ের আসরে আসেন মেগান মার্কেল। আর হ্যারি আসেন বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকে রানি এলিজাবেথের ঘোষণা অনুযায়ী প্রিন্স হ্যারি ‘ডিউক অব সাসেক্স’ ও তাঁর স্ত্রী মেগান ‘ডাচেস অব সাসেক্স’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন।