ইসরায়েলের বিমান হামলা

রাজন আল–নাজ্জার
রাজন আল–নাজ্জার

গাজায় গুলিতে নিহত এক নারী স্বাস্থ্যকর্মীর দাফনের কয়েক ঘণ্টা পর ওই উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গতকাল রোববার এ তথ্য জানিয়েছে। গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত ওই স্বাস্থ্যকর্মীর জানাজায় গত শনিবার মানুষের ঢল নামে।

বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা চালানোর জবাবে গতকাল ওই উপত্যকায় দুই দফায় বিমান হামলা চালানো হয়। প্রথম দফার হামলায় হামাস নিয়ন্ত্রিত তিনটি সামরিক এলাকার ১০টি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পরের দফায় গাজার উত্তরাঞ্চলে
হামাসের একটি নৌঘাঁটির পাঁচটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়।

সেনাবাহিনী আরও বলেছে, শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চল লক্ষ্য করে গাজা থেকে দুটি রকেট ছোড়া হয়। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একটি রকেট আকাশেই ধ্বংস করে দেয়। দ্বিতীয়টি গাজার ভেতরে পড়ে। এরপর গভীর রাতেও চারটি রকেট ছোড়া হয়। এর তিনটি আকাশে ধ্বংস করা হয়। চতুর্থটি একটি খোলা মাঠে পড়ে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তরুণ স্বেচ্ছাসেবী স্বাস্থ্যকর্মী রাজন আল-নাজ্জার (২১) গত শুক্রবার খান ইউনিসে বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। ফিলিস্তিনি মেডিকেল রিলিফ সোসাইটি এক বিবৃতিতে বলেছে, আহত এক বিক্ষোভকারীকে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন নাজ্জার। এভাবে সেবা দিতে গিয়ে শুক্রবার আরও তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর গুলি চালানো জেনেভা সনদ অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধ।

নাজ্জার নিহত হওয়ার ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে জাতিসংঘের দূত নিকোলায় ম্লাদেনভ শনিবার এক টুইটে লেখেন, স্বাস্থ্যকর্মীরা লক্ষ্যবস্তু হতে পারেন না। বল প্রয়োগের ক্ষেত্রে ইসরায়েলের মানদণ্ড অনুসরণ করা উচিত। আর হামাসেরও উচিত সীমান্ত বেড়ায় চলমান ঘটনাগুলো প্রতিরোধ করা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদ্রা বলেন, নাজ্জারের জানাজা ও দাফনের পর শনিবার ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি আহত হন।