ছেলেধরা গুজবে আতঙ্কে আসাম

আসামে ৮ জুন গণধোলাইয়ে প্রাণ হারান দুই যুবক নীলোৎপল দাস ও অভিজিৎ নাথ। ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
আসামে ৮ জুন গণধোলাইয়ে প্রাণ হারান দুই যুবক নীলোৎপল দাস ও অভিজিৎ নাথ। ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওঠা ছেলেধরার গুজব সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে আসাম পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই গুজবের জেরে দুই যুবক গণধোলাইয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। গুজব ছড়ানোর দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি পরিস্থিতি সামলাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর ওপর নজরদারি বাড়াচ্ছে পুলিশ।

আসামের কার্বি আংলং জেলার পাঞ্জা কাছাড়ি গ্রামে ৮ জুন গণধোলাইয়ে প্রাণ হারান দুই যুবক নীলোৎপল দাস ও অভিজিৎ নাথ। নীলোৎপাল গোয়ার বাসিন্দা। বন্ধু অভিজিৎকে নিয়ে গিয়েছিলেন বেড়াতে। গ্রামবাসী দুই আগন্তুক যুবককে ছেলেধরা মনে করে গণধোলাই দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুই যুবকের। এই ঘটনায় গোটা রাজ্যেই ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। প্রশাসনও সক্রিয় হয়ে ওঠে।

আসাম পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পুরো হত্যাকাণ্ডকে মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে সেটা তারা ভাইরাল করেছে।

রাজ্য সরকারের তরফে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের নজরদারি শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর পোস্ট করায় ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও ৭০ জনকে আলোচনার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। আটক ব্যক্তিদের সবার বয়স ৩০-এর নিচে।

দুই যুবকের হত্যাকাণ্ডের পর গোটা আসামেই বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গুজবে কান না দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপনও দিয়েছে রাজ্য সরকার।

এদিকে কার্বি আংলঙের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের কড়া শাস্তি দাবি করে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়ে গণ-আন্দোলন। দাবি উঠেছে দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানেরও।