দীর্ঘ সময় ড্রাম বাজিয়ে বিশ্ব রেকর্ডের স্বীকৃতি পেলেন পণ্ডিত সুদর্শন

বিশ্ব রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে বিরতিহীন ১৪ ঘণ্টা ড্রাম বাজান পণ্ডিত সুদর্শন দাশ। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ব রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে বিরতিহীন ১৪ ঘণ্টা ড্রাম বাজান পণ্ডিত সুদর্শন দাশ। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে বিরতিহীন ১৪ ঘণ্টা ড্রাম বাজানোর চ্যালেঞ্জ করেছিলেন বাদ্যসাধক পণ্ডিত সুদর্শন দাশ। তাঁর সেই চ্যালেঞ্জ সফল হয়েছে। গতকাল বুধবার ‘গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই রেকর্ডের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি।

এর মধ্যে দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার ‘হ্যাটট্রিক’ পূর্ণ করলেন পণ্ডিত সুদর্শন। দীর্ঘ সময় তবলা ও ঢোল বাজানোর দুটি বিশ্ব রেকর্ড আগেই ছিল তাঁর ঝুলিতে।

যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা পণ্ডিত সুদর্শন দাশ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার সন্তান। বিশ্ব রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে ৪ জুলাই সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত পূর্ব লন্ডনের কমার্শিয়াল রোডের লন্ডন এন্টারপ্রাইজ একাডেমি মিলনায়তনে টানা ১৪ ঘণ্টা ড্রাম বাজান তিনি।

পণ্ডিত সুদর্শন দাশকে স্বীকৃতি দিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের সনদ। ছবি: সংগৃহীত
পণ্ডিত সুদর্শন দাশকে স্বীকৃতি দিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের সনদ। ছবি: সংগৃহীত

সুদর্শনের বাজানোর পুরোটাই দুটি ভিডিও ক্যামেরায় ধারণ করা হয়। দর্শনার্থী যাঁরা গিয়েছেন, তাঁদের গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের দেওয়া সাক্ষ্যফরম পূরণ করতে হয়েছে। এসব যাচাই-বাছাইয়ের পর রেকর্ডের স্বীকৃতি দিল গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ।

যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশের এই সন্তান গতকাল বুধবার উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে প্রথম আলোকে বলেন, তিনি চেয়েছিলেন রেকর্ডের ‘হ্যাটট্রিক’ পূর্ণ করতে। তাঁর সেই চাওয়া পূর্ণ হয়েছে। তিনি জানান, তবলা ও ঢোলে পারদর্শী হলেও কখনো ড্রাম বাজাননি তিনি। কেবল রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে ড্রাম বাজানো শিখে নেন।

বাদ্যের মোহে বিভোর হয়ে যাওয়ার অসীম ক্ষমতা আছে এই বাঙালি সন্তানের। তবলা বাজিয়ে তিনি যে রেকর্ড গড়েছেন, সে জন্য তাঁকে টানা ২৫ দিনে ৫৫৭ ঘণ্টা ১১ মিনিট বাজাতে হয়েছিল। এরপর ঢোলে রেকর্ড গড়তে তাঁকে বাজাতে হয়েছিল টানা ২৭ ঘণ্টা।

সুদর্শন দাশের বাবা অমূল্য রঞ্জন দাশ। মা-বুলবুল রাণী দাশ। পণ্ডিত সুদর্শন পূর্ব লন্ডনের তবলা অ্যান্ড ঢোল একাডেমির প্রিন্সিপাল। পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস, নিউহ্যাম এবং রেডব্রিজ কাউন্সিলের অধীনে স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাগুলোর ‘মিউজিক ইন্সপেক্টর’ হিসেবে কাজ করেন তিনি।