রোদে পুড়ছে ইউরোপ

হ্যানোভার শহরসংলগ্ন বনভূমির ওপর হেলিকপ্টার থেকে পর্যবেক্ষণ। ছবি: সংগৃহীত
হ্যানোভার শহরসংলগ্ন বনভূমির ওপর হেলিকপ্টার থেকে পর্যবেক্ষণ। ছবি: সংগৃহীত

দুই সপ্তাহ যাবৎ ইউরোপজুড়ে প্রচণ্ড গরমের পর এই সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও বেড়েছে। প্রথমে সুইডেন পরে গ্রিসের বনভূমিতে দাবানলের পর জার্মানির বনভূমিজুড়ে আগুন লাগার আশঙ্কায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সুইডেনের বনভূমিতে আগুন লাগলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। তবে সোমবার গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে মাতি অবকাশ যাপন কেন্দ্রে আগুন লেগে প্রায় ৫০ জন মারা গেছেন। প্রচণ্ড তাপমাত্রার কারণে মাতি অবকাশ যাপন কেন্দ্রে ও কিনেতার বনভূমিতে আগুন লেগে যায়। সোমবারের এই ঘটনার পর ইউরোপের দেশগুলো দাবানলজনিত দুর্ঘটনা রুখতে নানা রকম ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং নানা রকম সতর্কমূলক নির্দেশনা দিচ্ছে।

উত্তর ইউরোপের দেশগুলো থেকে দক্ষিণের দেশগুলোর সবখানে এখন তাপমাত্রা ৩৩ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। জার্মানিসহ মধ্য ইউরোপের দেশগুলোয় মঙ্গলবার ছিল রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রা (৩৩ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। জার্মানির প্রকৃতি ও পরিবেশবিষয়ক মন্ত্রণালয় বনভূমিগুলোয় আগুন লাগার বিষয়ে আগাম সতর্কতা হিসেবে বনভূমিগুলোর ওপর হেলিকপ্টার দিয়ে পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করেছে।

বিভিন্ন শহর কর্তৃপক্ষ বনভূমির পাশে বা খোলা মাঠে বারবিকিউ বানানোয় সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছে। তীব্র গরমে রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে পড়েছে। গ্রীষ্মকালীন অবকাশে স্কুলগুলোয় ছয় সপ্তাহ বন্ধের কারণে শিশুদের স্কুলে যেতে হচ্ছে না। লোকজন একান্ত জরুরি কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। লেক, নদীর তীর এবং সাঁতারের স্থানগুলোয় রোদ কমে এলেই লোকারণ্য হয়ে উঠছে।

প্রায় চার সপ্তাহ ধরে ইউরোপে কম বৃষ্টিপাতের কারণে চরম খরাতে ইউরোপের বিস্তীর্ণ অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। এই বছর বসন্ত থেকেই উচ্চ তাপমাত্রা অনাবৃষ্টি ও এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল উচ্চ তাপমাত্রা বিরাজমান থাকায় এই তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হচ্ছে। বৃষ্টিপাত ও নিম্নচাপ না থাকায় তাপমাত্রা এই সপ্তাহে আরও বাড়বে বলে আবহাওয়াবিদেরা আশঙ্কা করছেন।