কোয়েটায় ভোটকেন্দ্রের বাইরে বিস্ফোরণ, নিহত ৩১

বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি। ছবিটি সাইদ আলী শাহ নামের এক ব্যক্তির টুইটার পেজে পোস্ট করা ভিডিও থেকে নেওয়া।
বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি। ছবিটি সাইদ আলী শাহ নামের এক ব্যক্তির টুইটার পেজে পোস্ট করা ভিডিও থেকে নেওয়া।

পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কোয়েটায় একটি কেন্দ্রের বাইরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ২০ জনের বেশি মানুষ।

এর আগে নির্বাচনী প্রচার চালাতে গিয়ে বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখাওয়ায় আত্মঘাতী হামলায় তিনজন প্রার্থী প্রাণ হারিয়েছেন। প্রাণ গেছে তাঁদের দুই শতাধিক নেতা ও কর্মী-সমর্থকের। এমন পরিস্থিতিতে ভোটের দিন নতুন করে রক্ত ঝরার শঙ্কা ভোটারদের মধ্যে ছিলই।

ঘটনায় প্রথম সাড়াদানকারীরা ডননিউজটিভিকে বলেন, পুলিশের ভ্যান লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। সিভিল হাসপাতালের মুখপাত্র ওয়াসিম বাইগ বলেন, ভ্যানটি একটি স্কুল কেন্দ্রের বাইরে টহল দিচ্ছিল।

যে এলাকায় বিস্ফোরণটি হয়েছে, সেটি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ২৬০তম আসন। এই এলাকার ভোটকেন্দ্রগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ বলা গণ্য করা হয়। গত ১৫ বছরে এই এলাকায় বহু মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। অনেক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

এ ছাড়া বেলুচিস্তানের নাসিরাবাদে রোপাশাখ আকবর ভোটকেন্দ্রে আগুন ধরে দুজন আহত হয়েছে বলে ডন জানিয়েছে।

এবারের নির্বাচন দেশটির ১১তম সাধারণ নির্বাচন। প্রায় ১০ কোটি ৬০ লাখ ভোটার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ২৭২ জন প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করবেন। ৫ কোটি ৯০ লাখ পুরুষ ও ৪ কোটি ৭০ লাখ নারী ভোটার ভোট দিচ্ছেন। একই সঙ্গে প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনের ভোট নেওয়া হচ্ছে।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা মূলত পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) দল, ভুট্টো পরিবারের ঐতিহ্যবাহী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) মধ্যে।

ধারণা করা হচ্ছে, নওয়াজের দলের সঙ্গে ইমরানের দলের মূল লড়াইটা হবে। তবে ছেড়ে কথা বলবে না পিপিপি। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ১৭২ আসন কোনো দল নিশ্চিত করতে না পারলে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর নাতি ও প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবেন।