আকাশে দেখা দিল দুই রক্তিম চাঁদ

পৃথিবীর আকাশে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে একসঙ্গে দেখা দিয়েছিল দুটি রক্তিম চাঁদ। শতাব্দীর দীর্ঘতম পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের কারণে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ একদিকে রক্তিম হয়ে উঠেছিল। অন্যদিকে তাকে সঙ্গ দিতে একপর্যায়ে হাজির হয় সৌরজগতের লাল গ্রহ মঙ্গল।
চাঁদের ওপর পৃথিবীর ছায়া পড়লে গ্রহণ হয়। তবে তা পুরোপুরি অন্ধকারে ঢেকে যায় না। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভেদ করে চাঁদের ওপর সূর্যের কিছু আলো তখনো পড়ে। এ ক্ষেত্রে বায়ুমণ্ডলে সূর্যের বেশির ভাগ আলো প্রতিফলিত বা শোষিত হলেও লাল রঙের আলো ঠিকই পৌঁছে যায় চাঁদে। ফলে এটি লোহিত হয়ে ওঠে। গতকাল রাতে ঠিক এই ঘটনাই ঘটেছে।
মঙ্গল গত রাতে পৃথিবী ও সূর্যের বিপরীত দিকে অবস্থান করছিল। একই সঙ্গে এটি নিজ কক্ষপথে পৃথিবীর নিকটতম জায়গায় ছিল। এ সময় পৃথিবী 
থেকে মঙ্গলের দূরত্ব ছিল প্রায় ৩ কোটি ৫৯ লাখ 
মাইল। এ কারণে এই গ্রহকে অপেক্ষাকৃত উজ্জ্বল 
দেখায় গত রাতে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত মঙ্গল এই অবস্থানে থাকবে। এর আগে ২০০৩ সালে পৃথিবীর আকাশে উজ্জ্বল হয়ে দেখা দিয়েছিল মঙ্গল।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা বিভাগে গতকাল রাত ১১টা ১৩ মিনিটে শুরু হয়ে চন্দ্রগ্রহণ শেষ হয় ভোর সাড়ে ৫টায়। পূর্ণ গ্রহণ হয় রাত ২টা ২১ মিনিটে। চট্টগ্রামে ঢাকার নয় মিনিট আগে গ্রহণ শুরু হয়। আর তা শেষ হয় ভোর ৫টা ২৭ মিনিটে। ময়মনসিংহে ১১টা ১৪ মিনিটে শুরু হয়ে গ্রহণ শেষ হয় ৫টা ২৮ মিনিটে। সিলেটে ১১টা ৯ মিনিটে গ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় ৫টা ২৮ মিনিটে। খুলনায় গ্রহণ ছিল ১১টা ১৪ মিনিট থেকে ৫টা ৩৩ মিনিট পর্যন্ত। বরিশালে ১১টা ১১ মিনিট থেকে শুরু হয়ে ৫টা ৩২ মিনিটে গ্রহণ শেষ হয়। রাজশাহীতে ১১টা ২০ মিনিটে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয়। আর শেষ হয় ৫টা ৩৬ মিনিটে। রংপুরে ১১টা ২১ মিনিটে গ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় ৫টা ৩১ মিনিটে। তবে আকাশ মেঘলা ও বৃষ্টি থাকায় বাংলাদেশের অনেক জায়গা থেকেই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যায়নি।